আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম

১।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হাত না ধুয়ে যদি আমি পিঠা বানিয়ে ফেলি, পিঠা গুলো কি নাপাক হবে, আমার হাত না ধুয়ার কারনে?

২। সাহু সিজদা দেয়ার পর সিজদা একটা নাকি দুইটা দিয়েছি নিশ্চিত না হতে পারলে আরেকটা সিজদা দেয়া যাবে কি?
৩। আলিম কোর্সের কিছু ক্লাস যদি আমি একদম না করি আমার কি পাপ হবে?
৪।https://ifatwa.info/112985/ এই উত্তরের নিচে আমি কিছু প্রশ্ন করেছিলাম,এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হতাম।
৫। নামাজে কখনো রাকআত বা সিজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় সিজদা বা রাকআত পড়তে গেলে তখন  যদি মনে হয়,এই রাকআতহয়তো পড়েছি, তখন কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://www.ifatwa.info/17451/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ وَأَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلَا يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ " . - صحيح

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ রাত্রে জাগ্রত হলে সে যেন নিজের হাত তিনবার না ধুয়ে (পানির) পাত্রে হাত ডুবিয়ে না দেয়। কারণ তার জানা নেই (ঘুমের অবস্থায়) তার হাত কোথায় রাত কাটিয়েছে।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, ৩/১৮১ নাবাবী), আহমাদ (২/২৫৩, ৪৭১) আবু দাউদ ১০৩)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلاَ يُدْخِلْ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ أَوْ أَيْنَ كَانَتْ تَطُوفُ يَدُهُ "

আহমাদ ইবনু আমর .............. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যখন তোমাদের কেউ ঘুম হতে জাগ্রত হয়, তখন সে যেন স্বীয় হস্ত তিনবার ধৌত করার পূর্বে পাত্রের মধ্যে প্রবেশ না করা। কেননা তোমাদের কেউ জানে না (ঘুমন্ত অবস্হায়) তার হাত কোথায় ছিল অথবা তার হস্ত কোথায় কোথায় ঘুরছিল-
(আবু দাউদ ১০৫)

★★হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
এ হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতকে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা শিক্ষা দিয়েছেন। হাদীসের মধ্যে বিষয়টি এভাবে এসেছে যে, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করানো যাবে না; কারণ জাগ্রত ব্যক্তি জানে না যে, রাতের বেলায় তার হাত কোথায় ছিল। 

এজন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাই ঘুম থেকে উঠে আগে হাত ধুয়ে নেয়া পরিচ্ছন্নতা ও রুচির পরিচায়ক। মূলকথা হলো এই যে, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর হাত ধোয়া ছাড়া পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করানো মাকরূহ।

 হাতে নাপাকী থাকা নিশ্চিত হলে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং নাপাক কিছু না থাকলেও পানির পাত্রে হাত প্রবেশের পূর্বে ধুয়ে নেয়া মুসতাহাব।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা ঘুম থেকে উঠে হাত না ধুয়ে পিঠা বানিয়ে ফেললে তা নাপাক হয়ে যাবেনা।
,
হ্যাঁ যদি হাতে নাপাকি লাগা সম্পর্কে  নিশ্চিত হয়,তাহলে সেই নাপাকি ভেজা অবস্থায় হাতে থাকলে/সেই হাত দিয়ে পানি বা তরল কিছু স্পর্শ করলে তাহা নাপাক হয়ে যাবে।

এমতাবস্থায় সেই পিঠা স্পর্শ করলে পিঠা নাপাক হয়ে যাবে।
,
আরো জানুনঃ

(০২)
এক্ষেত্রে প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।

যদি প্রবল ধারণা হয় যে আপনি একটি সেজদা করেছেন, তাহলে আরো একটি সেজদা করে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করে নামাজ শেষ করবেন।

(০৩)
বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করলে ক্লাসের হক অনাদায়ের গুনাহ হবে।

(০৪)
★নামাজ পড়ার সময় চারপাশের শব্দের জন্য যদি আপনি নামাজে কি বলছেন, এগুলো শুনতে না পান, তাহলে নামাজ হবে।

★ 'আমি নামাজের জন্য ওযু করছি'
এটা বললেই হবে।

মনে মনে কিছু না বললেও হবে।

★ এতে যদি সে রাজি থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজে খাতা ব্যবহার করতে পারবেন।

(০৫)
এক্ষেত্রে করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...