আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
১।আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ ।
ওস্তাদ আমার সাধারণত হায়েজের প্রথম তিন দিনে বেশি ব্লেডিং হয়। তারপরের দুই দিনে  হালকা হলুদ এবং লালের মাঝামাঝি শ্রাবের মত হয়। এবার তৃতীয় দিনে রক্ত আসা বন্ধ হয়েছে কিন্তু

সাধারণ অবস্থায়   বাবা বাথরুমে গেলে তখন বোঝা যায় না যে হায়েজ আছে কিনা কিন্তু সাদা স্রাব এখনো আসেনি এবং টিস্যু দিয়ে চেক করার পর হলুদ কালারের স্রাব দেখা যাচ্ছে।

এটা কি কি হায়েজ ধরবো? নাকি পবিত্র হয়ে গেছি। এর আগেও এরকম হয়েছিল একবার বন্ধ থাকার পর আবার ছয় তম দিনে  ব্লাড দেখা গিয়েছিল ।
****আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। আমার স্বামী ঢাকায় থাকে আমি থাকি রংপুরে। এখন উনার  পক্ষে সম্ভব না আমাকে তার কাছে নিয়ে গিয়ে থাকা।  উনি এখনো স্টুডেন্ট। এবং টিউশনি করান। উনি বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে থাকে ক্লাস, টিউশনি এবং আদার্স বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন।যার কারনে উনি চাইলেও আমি ওনার কাছ থেকে যেরকম সময় চাই উনি হয়তো দিতে পারেন না। এই কারণে আমার খুব মন খারাপ হয়, অভিমান হয। আমি চাই যে  উনি আমাকে ফোন করুক সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও রাতে একটু কথা বলুক এরকম আমি চাই। কিন্তু উনি বেশিরভাগ সময়ই মেসেজে কথা বলে। কিন্তু আমি তার সাথে ফোনে কথা বলতে বেশি পছন্দ করি কিন্তু উনি সেটা বোঝেন না, উনি ভাবে যে  মেসেজ করতেছি এটা তো কথা বলার মতই কিন্তু আমার এটা ভালো লাগেনা। আবার আমি বলিও না শুধু মন খারাপ করে থাকি, আর এই কারনে মাঝে মাঝে অনেকে উল্টাপাল্টা কথা বলে ফেলি, কষ্ট দিয়ে ফেলি। এরপর যখন বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলি তখন আবার আমার খুব খারাপ লাগে মনে হয় যে আমি এরকম করে কেন বললাম। তখন ভাবি যে আমার যতই খারাপ লাগুক  কিন্তু আমি  এরকম করে আর কখনো বলবো না। কিছুদিন পর আবার এগুলা ভুলে যাই আবার আগের মত এরকম করি।
১।যখন উনি রাগ করেন আমার সাথে ওই সময় আমি আমার মৃত্যু কামনা করি রাগ করে । এটা তে কি আমি গুনাগার হব?
২।আমার এরকম আচরণের কারণে কি আমি গুনাহগার হচ্ছি?
৩।বা আমার মন খারাপের কারণে কি আমার স্বামী গুনাগার হচ্ছ?
কি করে সমস্যার সমাধান করা যায় একটু পরামর্শ দিবেন উস্তাদ । আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে ছাড়া আরো অন্য কোন বিষয়ে সমস্যা নেই।

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে- 
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم، أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم، فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ:لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا، فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ، فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ فِيهِ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক মহিলার (হায়িয-নিফাসের নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পরও) রক্তস্রাব হতো। উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঐ মহিলার জন্য কি বিধান তা জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হবার আগে মাসের যে ক’দিন তার হায়িয হত তা খেয়াল করে গুনে রাখে এবং প্রতিমাসে সেই ক’দিন সে সলাত ছেড়ে দেয়। ঐ ক’দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে সে যেন গোসল করে নেয়, অতঃপর (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করে।
(নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ হায়িয শেষে গোসল করা, হাঃ ২০৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৩), আবু দাউদ ২৭৪. আহমাদ (৬/২৯৩, ৩২০, ৩২২), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা)
عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 
উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে। (আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)
আরো জানুন- 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
,
১. আপনি প্যাড ব্যবহার করে সেটার প্রতি লক্ষ্য করবেন, যদি স্পষ্ট সাদা আসে, তাহলে তো এটি হায়েজ নয়। নামাজ আদায় করতে হবে।
আর যদি প্যাডে হালকা বাদামি রঙ বা অন্য রঙ মনে হয়, সেক্ষেত্রে সেটিকে হায়েজ ধরবেন।
যদি প্যাড দেখার পরেও আপনি সন্দিহান হোন যে সাদা কিনা? সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার প্রতি মাসে যে অভ্যাস গত দিন ব্লিডিং থাকে, সেই হিসাবে ঐ দিন হায়েজ ধরবেন। 
,
২. না, এভাবে নিজের মৃত্যু কামনা করা জায়েয হবে না। এটা পরিহার করবেন।
৩-৪. পরবর্তীতে এ রকম আচরণ করবেন না। প্রয়োজনে আপনার স্বামীকে মহব্বতের সাথে আরো বুঝাবেন। আপনার মনের কথা তাকে খোলে বলবেন। একে অপরকে ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একে অপরের সাথে কথা বলাও সওয়াবের কাজ। 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...