আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আ'লাইকুম, কয়েক মাস ধরে মাসিক একটু দেরি করেই হচ্ছে তো আমি শিউর ছিলাম না কখন হবে তো প্রশ্নটি ছিল নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরে নামাজ পড়ার আগেই মাসিক হয়ে গেলে কি সেই নামাজটা কাযা হয়ে যায়? যেহেতু ওয়াক্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল ভালো থাকা অবস্থায়।
দ্বিতীয় প্রশ্নটি হচ্ছে এ রমজানটা আমার জন্য একটু কষ্টের গেছে সেজন্য এবাদত বলতে গেলে তেমন কিছুই করতে পারি নাই, অন্যদিকে নিজের গাফলতিও আছে প্রচুর। প্ল্যান করেছিলাম শেষের দশ দিনের একটা মুহুর্তও নষ্ট হতে দিবো না কোন কারণে, আগামীকাল আমার খতম দেওয়ার কথা আর আজকে মাসিক হয়ে গেছে, এখন কি আমি এটা আল্লাহর নারাজির কারণ বা পূর্বের কোন গুনাহের কারণে আল্লাহ আমাকে শেষ দশ দিনে কোরআন বা নামাজ পড়া থেকে বিরত রাখলেন এমন মনে করতে পারি? কিভাবে আল্লাহকে খুশি করবো এখন? এতদিন সময় নষ্ট করেছি একটু হলেও, রমজানের দিন তো আর ফিরে পাবো না, আমি একটু আশা চাই।

1 Answer

0 votes
by (632,190 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযের ওয়াক্তের একেবারে শেষ মুহূর্তে যদি কোনো নারীর হায়েয আসে, আর ঐ নারী উক্ত নামায পড়ে না থাকে, তাহলে ঐ নামায উক্ত মহিলাকে আর পড়তে হবে না,মাফ হয়ে যাবে। 

أما الفرض ففي الصوم تقضیہ دون الصلاة وإن مضی من الوقت ما یمکنھا أداوٴھا فیہا؛لأن العبرة عندنا لآخر الوقت کما في المنبع (رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الحیض، ۱: ۴۸۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
إذا حاضت في الوقت أو نفست سقط فرضہ بقي من الوقت ما یمکن أن تصلي فیہ أو لا ھکذا في الذخیرة (الفتاوی الھندیة، کتاب الطھارة، الباب السادس في الدماء المختصة بالنساء، الفصل الرابع في أحکام الحیض والنفاس والاستحاضة، ۱: ۳۸، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر) ۔

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/93994

(২) রমজানের শেষ দিকে হায়েয চলে এসেছে, এজন্য কোনো সমস্যা নেই। আপনি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করুন।তাসবিহ পড়ুন। দুআ করুন। আপনার নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে , উপরোক্ত আমল দ্বারা অনেক অনেক সওয়াব পেতে পারেন, যা অনেক রোযাদার থেকেও বেশী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
Jazaakumullahu Khairan.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...