আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম
1)একজন ভাই আমুসলিম দেশে ডাক্তারি পরার জন্য আবেদন করেছেন। উনি সেখানে জাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া করছেন তবে উনি জানতে চান, উনার যাওয়া জায়েয হবে কিনা। উনি সেই দেশে পরার সিদ্ধান্ত আগে নিয়েছিলেন কারন ওইখানে শুরু থেকেই গবেষণার সুযোগ রয়েছে এবং উনি এই বিষয়ে ওইখান থেকে খুব আগে থেকেই গবেষণায় নিয়জিত হওয়ার সুযোগ থাকবে। ওই দেশের প্রযুক্তি আমাদের থেকে ভাল এমং university গুলা world recognized যার ফলে উনার ডিগ্রির মান অনেক ভাল হবে।
১। উনি সেইখানে নিজের সালাত, সিয়াম এবং নিজেদের মধ্যে দাওয়াত দেয়া। অমুসলিম দের হয়ত একটু হিকমাহর সাথে ইসলাম এর গুরুত্ত বুঝানো এই কাজ করতে পারবেন in sha Allah.
২। উনি farz e ilm অর্জন করছেন এবং আরো জ্ঞান যা মুসলিম এর দরকার টা অর্জন করার চেষ্টা করেন যখন সময় পান।
৩। ওই দেশ select করার মুল উদ্দেশ্য medical scientist হওয়া এবং সাথে সাথে বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সাথে জরিত হয়ে তার পরিবারের ব্যাবসার উন্নতি করা। আরো বড় করে তোলা ।
৪। অন্য মুসলিম দেশে উনি দেখেছিলান কিন্তু সেইখানে খরচ অনেক বেশি এবং entrepreneurship এর জন্য অত পরিচিত না। ওই দেশ গুলতেও দেখা যায় বাইরের দেশের ডিগ্রিকে প্রাধান্ন দেয়।
৫। উনি সেইখান থেকে পরে এসে বাংলাদেশে নানা উন্নত ব্যাবস্থা জেটা  উপকারি টা আনতে চান। ব্যাবসা এবং গবেশনার মাধ্যমে।
৬। বাংলাদেশে উনি একটা প্রাইভেট মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু  এইটাতে degree র মান পরে গবেষণা করার জন্য বা নানামুখি নতুন ইতিবাচক বিশয় আনার জন্য উপোযোগী না । আবার এই হাসপাতালে রোগীও কম যা উনার গবেষণা এবং স্বাভাবিক গ্যানকেও বেশ কম শানিত করবে।
উনি কি জেতে পারবেন?

2) একজন মানুষ যেই আলেমের সহবতে আছেন সেই আলেম দলিল ভিত্তিক একটা জিনিস কে হালাল বলেছেন এবং উনি direct কুরআন এর আয়াত এর শাব্দিক ব্যাক্ষা নিয়েছেন। তার বন্ধু আরেকজন আলেম এর বক্তব্য মানে যেই আলেম দলিল এর ভিত্তিতে অন্তর্নিহিত ব্যাক্ষা নিয়ে হারাম বলেছেন। এখন প্রথম ব্যাক্তি নফসের চাহিদায় যেইটা সে হারাম মানত সেটাকে হালাল বলল তবে প্রথম টা কে অস্বীকার করেনি । সে নফসের চাহিদায় অন্য মত নিল কিন্তু আগের আলেম এর দলিল কে অস্বীকার করেনি। সে কি কাফির হবে?

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসলিম অমুসলিম যে কারো কাছ থেকে জাগতিক শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে। অমুসলিমের কাছ থেকে বৈধ হালাল টাকা গ্রহণ করতেও বাধা নাই। তবে সুদ বা মদ বিক্রয় বাবৎ অর্জিত টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

অমুসলিম দেশে বসবাস, স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক, যখন এ এমন আলোচনা আসে, তখন তাদের ধর্মীয় নিয়ম নীতি বা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন আসে?

তাছাড়া হাদীসে এসেছে,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
বিস্তারিত জানতে.......
মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত (১/২৪৩) দেখা যেতে পারে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3447


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি অন্তরে কাফিরদের দ্বীনের দাওয়াত প্রদানের নিয়ত রাখেন, তাহলে পড়াশোনার জন্য অমুসলিম দেশে যেতে পারবেন।এমনকি স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্তও করতে পারবেন। কেননা অনেক সাহাবা তাবেইন অমুসলিমদের মধ্যে এজন্য এসে বসবাস শুরু করেছিলেন,যেন তাদের নিকট  ইসলামের বাণী পৌছানো যায়।

(২) একজন হালাল এবং অন্যজন হারাম বললে, তখন হারামকে প্রধান্য দেওয়াই তাকওয়ার দাবী। তবে যদি কেউ হালালকে প্রধান্য দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে নফসের গোলামী বিবেচিত হলেও কেউ কাফির হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...