ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু
জবাব,
بسم الله
الرحمن الرحيم
https://ifatwa.info/4868/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, পর্দার প্রথম স্থর হচ্ছে ঘরে অবস্থান করা।
প্রথম স্থরঃ
মহিলা সর্বাবস্থায়
ঘরে বসে থাকবে,অর্থাৎ
ঘরের ভিতর থাকার মাধ্যমে ব্যক্তি পর্দা করবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ
ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺣِﺠَﺎﺏٍ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻟِﻘُﻠُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻦَّ
তোমরা তাঁর
পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং
তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।
{সূরা আহযাব-৫৩}
ﻭَﻗَﺮْﻥَ
ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ
ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ
তরজমাঃ তোমরা
গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায
কায়েম করবে, যাকাত
প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ
কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
(সূরা-আহযাব-৩৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান পরিস্থিতিতে
ফিতনার আশংকায় যেখানে নামাযের জন্য মসজাদে মহিলাদের যাওয়া মাকরুহে তাহরীমি। সেখানে
আন্দোলনের জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়া জায়েয হবে না। বরং আন্দোলন পুরুষরাই করবে। মহিলারা আন্দোলন সফল হওয়ার জন্য দোয়া করতে থাকবে।
হ্যা যদি কোথাও
মুসলমানদের সংখ্যা কম থাকে, এবং আন্দোলনে
বেশ সংখ্যক মানুষের প্রয়োজন হয়,সেখানে অবশ্যই পর্দার সাথে মহিলারা
অংশ নিতে পারবে।