বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত আছে....
وَ) تَجِبُ أَيْضًا (لِكُلِّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ صَغِيرٍ أَوْ أُنْثَى) مُطْلَقًا (وَلَوْ) كَانَتْ الْأُنْثَى (بَالِغَةً) صَحِيحَةً
وفي ردالمحتار تحت قوله )مطلقا(وَالْمُرَادُ بِالصَّحِيحَةِ، الْقَادِرَةُ عَلَى الْكَسْبِ، لَكِنْ لَوْ كَانَتْ مُكْتَسِبَةً بِالْفِعْلِ كَالْقَابِلَةِ وَالْمُغَسِّلَةِ لَا نَفَقَةَ لَهَا كَمَا مَرَّ (
ভাবার্থঃউপার্জনে সক্ষম,সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক মহিলার খোরপোষ পিতা-স্বামী-সন্তান না থাকা অবস্থায় নিকটাত্মীয়র উপর ওয়াজিব।কিন্ত যদি মহিলা শরীয়ত সমর্থিত কোনো কাজে প্রথম থেকেই নিয়োজিত থাকে, তাহলে তার নাফক্বাহ অন্যর উপর ওয়াজিব হবেনা।(রদ্দুল মুহতারা-৩/৬২৭)
সারমর্ম,
মেয়ে ধনী হলে মেয়ের উপর পিতা-মাতাকে লালন-পালন করা ওয়াজিব।অন্যথায় ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর উক্ত পিতা-মাতাসহ প্রাপ্তবয়স্কা মহিলার খোরপোষ ওয়াজিব হবে। উপার্জনে অক্ষম ব্যক্তির খোরপোষের দায়ভার সম্পর্কে আদ-দুর্রুল মুখতারে (৩/৬২৩) বর্ণিত আছে,
وَالْمُعْتَبَرُ فِيهِ الْقُرْبُ وَالْجُزْئِيَّةُ
এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নিকটত্বতা ও রক্ত সম্পর্কতা।
সুতরাং উপার্জনে অক্ষম ব্যক্তির রক্তের সম্পর্কের দিকদিয়ে যেই সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে,তার উপর তাকে নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3712
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাতের টাকা নিজ কাছে পৃথক করে রেখে দিতে পারেন।পরবর্তীকালে সময়মত খরচ করবেন। এই যে যাকাতের কত টাকা ঐ ব্যক্তি তার নিজের কাছে রাখছেন, সেটার আপডেট বৎসরান্তে অন্তত দুইজন ন্যায়পরায়ন ব্যক্তিকে শুনিয়ে রাখাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
সনধারণত দেড়িতে যাকাত আদায় করা মাকরুহ। তবে উজর বা জরুরত হলে তখন দেড়িতেও যাকাত দেয়া যাবে।
الفتاوى الهندية (5 / 14):
"وَتَجِبُ عَلَى الْفَوْرِ عِنْدَ تَمَامِ الْحَوْلِ حَتَّى يَأْثَمَ بِتَأْخِيرِهِ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ ، وَفِي رِوَايَةِ الرَّازِيّ عَلَى التَّرَاخِي حَتَّى يَأْثَمَ عِنْدَ الْمَوْتِ ، وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ كَذَا فِي التَّهْذِيبِ"