বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কমিশন লাভের আশায় কোনো রোগীকে নির্দিষ্ট কোনো দোকানে চশমা ক্রয় করতে পাঠানো ডাক্তারের জন্য কখনো জায়েয হবে না। এভাবে ইনকাম করাটাও জায়েয হবে না।
(২) ব্যবসাতে কি পরিমাণ ও কত পার্সেন্ট মুনাফা অর্জন করা যাবে?
ইসলামী শরীয়তে এর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই, বরং ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সন্তুষ্টিতে যেকোনো মূল্যে কোনো জিনিষকে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
মোটকথা, ক্রয়-বিক্রয়ের সময় আমাদেরকে অবশ্যই দুটি দিক খেয়ালে রাখতে হবে।
প্রথমতঃ উভয়ের সন্তুষ্টি আছে কি না? সেদিকে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে ,
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
৫০ টাকার চশমা ৫০০ টাকায় বিক্রি করা যাবে যদি ক্রেতা নিজ সন্তুষ্টিতে তাতে সম্মত থাকে। এবং কোনো প্রকার প্রতারণার মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা না হয়। ডাক্তারের রেফারেন্সে ৫০ টাকার মাল ৫০০ টাকায় ক্রয় করতে বাধ্য করা কখনো জায়েয হবে না। এবং মুনাফাও তখন জায়েয হবে না।