আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১।হুজুর আমি বিয়ের সময় গয়না আর কিছু টাকা হাদিয়া পাই। আমার মা বাবা ঐ টাকা রেখে দিয়েছেন আমি বাসা নিলে আমাকে ফার্নিচার কিনে দেওয়ার জন্য।এখন ঐ টাকা কি আমার প্রয়োজনীয় খরচের অন্তর্ভুক্ত হবে,নাকি ঐ টাকার উপরও যাকাত আসবে।ঐ টাকা এবং আমার গয়না মিলে যদি দুজনের হজ্জে যাওয়ার খরচ উঠে যায় তাহলে কি আমার উপর হজ্জ ফরজ হবে? নাকি ঐ টাকা প্রয়োজনীয় খরচের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে হজ্জের বিধান আরোপিত হবে না?
২।আমার স্বামী আমার খরচে হজ্জে যেতে চান না।কিন্তু বর্তমানে ওনার নিজেরও হজ্জ করার সামর্থ্য নেই।উনি এটাও পছন্দ করছেন না যে আমি আমার বাবা বা অন্য কোনো মাহরামের সাথে হজ্জ করবো।এমতাবস্থায় আমি কি ওনার সামর্থ্য হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, নাকি অন্য কোনো মাহরামের সাথে হজ্জ করবো? আর উনি যদি অপর মাহরামের সাথে হজ্জ করার বিষয়ে রাগ করেন সেটা কি যুক্তিযুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (631,230 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো অবিবাহিত ব্যক্তির নিকট যদি এই পরিমাণ টাকা থাকে যে, হজ্ব ফরয। এখন দেখতে হবে, বিয়ে না করলে কি যিনাতে লিপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে? না কি নাই? যদি যিনাতে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে ফরয হজ্বের পূর্বে তাৎক্ষণিক বিয়ে করা জরুরী। এক্ষেত্রে হজ্ব বিলম্ব হওয়াতে বা হজ্ব না করাতে কোনো গোনাহ হবে না। আর যদি গোনাহকে লিপ্ত হওয়ার কোনো আশংকা না থাকে, তাহলে তখন হজ্ব করাই জরুরী। হজ্ব ফরয হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7288

وفي الأشباہ: معہ ألف وفاف العزوبة إن کان قبل خروج أہل بلدہ فلہ التزوّج ولو وقتہ لزمہ الحج (درمختار)․․․ ولذا اعترضہ ابن کمال باشا فی شرحہ علی الہدایة بأنہ حال التوقان مقدّم علی الحج اتفاقًا؛ لأن في ترکہ امرین: ترک الفرض والوقوع في الزنا، وجواب أبي حنیفة في غیر حال التوقان اھ أي في غیر حال تحققہ الزنا لأنہ لو تحققہ فرض التزوج أما لو خافہ فالتزوج واجب لا فرض فیقدم الحج الفرض علیہ فافھم․ (الدر مع الرد: ۳/۴۶۱، ط: زکریا) وانظر (أنوار مناسک، ص: ۱۵۸)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের সময় আপনি গয়না এবং যেই  টাকা হাদিয়া পেয়েছেন, সেই টাকা এই পরিমাণের হয় যে, আপনি হজ্বে গিয়ে আবার বাড়ীতে ফিরে আসতে পারবেন, তাহলে আপনার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে। চায় সে টাকাগুলোকে আপনি ফার্ণিচার খরিদ করার জন্যই রাখেন না কেন? এখন এই টাকার যদি এক বৎসর আপনার নিকট অতিবাহিত হয়ে থাকে, তাহলে এই টাকার উপর যাকাতও আসবে।

(২) নারীদের জন্য শুধুমাত্র টাকা থাকলেই হজ্ব ফরয হয় না বরং মাহরাম কাউকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে যাওযার সামর্থ্য হওয়ার পর বা মাহরাম কাউকে সহযাত্রী পাওয়ার পরই নারীর উপর হজ্ব ফরয হয়। আপনি স্বামীর সামর্থ্য হওয়ার অপেক্ষা করতে পারবেন। অথবা স্বামীকে নিয়ে বা স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে মাহরাম কারো সাথে হজ্বে যেতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...