আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আমি নিজের রোজার কাফ্ফারের টাকা অনেক দিন আগে ২ জন লোকে ৫০, ৫০করে ১০০ টাকা খাওয়াই. তারপর কাফফারা টাকা নিয়ত করে ২০০ টাকা একটা গরিব ক দেই এখন বাকি টাকা আমি শেষ এর ১০ রোজাত আগে গরিব দের দিবো কিছু অংশ আর কিছু অংশ শেষ এর ১০ দিন এ নাও মসলিম ফান্ড এ দিবো ভাবছি. এটা কী আমার কাফফারা আদায় হয়ে যাবে নাকি একদিন আবার নতুন করে নিয়ত করে একবারে আবার সব টাকা ম্যানেজ করে দিতে হবে.?

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফরয রোযা রাখার পর ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে কা'যার সাথে সাথে কাফফারা ও আদায় করতে হয়।

রোযার কাফফারা
(ক)একজন গোলাম আযাদ করা,(খ)সম্ভব না হলে লাগাতার ৬০টি রোযা রাখা,(গ)সেটিও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা সমপরিমাণ মাল দিয়ে দেওয়া।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি রোযার কাফফারা শেষ পর্যন্ত ৬০ টা রোযা বা ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা পরিমাণ মাল দিয়ে আদায় করতে হবে।সুতরাং এ হিসেবে একটি রোযার কাফফারার জন্য ৬০টা ফিতরা আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1752


৬০ জন মিসকিনকেই দিতে হবে। অথবা একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দিতে হবে।৬০ মিসকিনের টাকা  কোনো ফান্ড বা নলকুপ স্থাপনের জন্য দিলে কাফফারা আদায় হবে না। বরং মিসকিনের হাতেই দিতে হবে। এতো মিসকিন একসাথে না পেলে কোনো এতিমখানায় বা কওমি মাদরাসায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোযার কাফফারা সর্বপ্রথম ৬০ রোযা রাখার দ্বারাই আদায় করতে হবে। যদি ৬০ টি রোযা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো দ্বারা কাফফারা আদায় করতে হবে। প্রশ্নের বিবরণমতে 
আপনি সর্বমোট তিনশত টাকা গরীবদেরকে দিয়েছেন,মোটামটি তিনটা ফিতরা আদায় হয়েছে, আরো ৫৭ টি ঠি ফিতরা আপনাকে গরীবদেরকেই দিতে হবে। নও মুসলিম যদি গরীব হন, তাহলে তাদেরকে দেয়া যাবে। নতুবা দেয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...