আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,
বাচ্চা হওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে বিভিন্ন ভ্যাকসিন দিতে হয় শিশুদেরকে।ভ্যাকসিন গুলো সরকার বিনা পয়সায় শিশুদেরকে দেয়।প্রতিবার ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে একটি ফরম পূরণ করতে হয়।ফরমের মধ্যে পিতা মাতার সাক্ষর অবশ্যই দেওয়া লাগে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

(প্রশ্ন)আমার বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে যে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল ,সেটা পূরণ করে নিয়ে যাই এবং ফরমের মধ্যে মায়ের সাক্ষর আমি দিয়ে দেই এবং বাবার সাক্ষরও আমি দিয়ে দিই।এভাবে আমার স্বামীর সাক্ষর আমি দিয়ে দেওয়ার কারনে,অর্থাৎ ফরমের মধ্যে এভাবে মিথ্যা সাক্ষর দিয়ে এই ফরম টি দেখিয়ে আমার বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কারনে কি ভ্যাকসিন নেওয়া নাজায়েজ হয়েছিল? এখন আমি কি এই ভ্যাকসিন এর সমমূল্য টাকা সরকারের ফান্ডে জমা দিব? যদি ভ্যাকসিনের সমমূল্য টাকা সরকারের ফান্ডে জমা না দেই ,তাহলে কী আমি সরকারের কাছে ঋণী থাকব?

দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ، 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

জরুরতে মিথ্যা বলার বিধান সম্পর্কে জানতে  ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/644


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর সাইনকে নকল করা কখনো জায়েয হয়নি। তবে যদি স্বামীর অনুমোদন থাকে, বা বিশেষ কোনো জরুরত থাকে, তখন এমতাবস্থায় স্ত্রীর গোনাহ হবে না। ভ্যাকসিন সমপরিমাণ টাকাকে সদকাহ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...