ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1900
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনার মামাশ্বশুর এবং খালু শশুর যদি ইসলামী ব্যাংকের সুদি সেক্টরে চাকুরি করে। উনারা ঈদের সময় আপনার ছেলেকে ড্রেস হাদিয়া দিলে। উনাদের এই হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে না। আর দিয়ে দিলে এই হাদিয়া গরীবদেরকে দান করে দিতে হবে। অথবা মূল্যকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(২)
দেশের বাড়ীতে যদি আপনার স্বামীর বাড়ি থাকে, তাহলে দেশের বাড়ীতে তথা শশুড় বাড়ীতেও আপনি এবং আপনার স্বামী মুকিম হবেন। আপনার শশুড় বাড়ীতে মুকিম হওয়ার কারণে আপনার বাবার বাড়ীতেও আপনি মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন।
তবে যদি আপনার বাবার বাড়ী আপনার শশুড় বাড়ী থেকে সফর সমপরিমাণ দূরত্বে হতো, তাহলে আপনি বাবার বাড়ীতে মুসাফির হিসেবে গণ্য হতেন।