ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا عدوى ولا طيرة، ولا هامة ولا صفر، وفرمن المجذوم كما تفر من الأسد»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কোনো রোগ সংক্রামক হতে পারে না।কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই।পাখী উড়ানোতে সুলক্ষণ-কুলক্ষণের কোনো পরিচয় নেই।সফরের মাস অশোভিত বলতে কিছু নেই।তোমরা কুষ্ঠ রোগী থেকে ঠিক সেভাবে পলায়ন করো যেভাবে সিংহ থেকে পলায়ন করা হয়।(সহীহ বুখারী-৫৭০৭)
কুলক্ষণ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“যখন তাদের (ফিরআউন ও তার প্রজাদের)
কোনো কল্যাণ দেখা দিত তখন তারা
বলত, এটা আমাদের জন্য হয়েছে। আর
যদি কোনো অকল্যাণ হতো, তারা তখন
মূসা ও তার সাথীদের অলুক্ষণে বলে
গণ্য করত”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৩১]
আরবরা যাত্রা ইত্যাদি কাজের
প্রাক্কালে পাখি উড়িয়ে দিয়ে
তার শুভাশুভ নির্ণয় করত। পাখি ডান
দিকে গেলে শুভ মনে করে সে কাজে
নেমে পড়ত। আর বাম দিকে গেলে অশুভ
মনে করে তা থেকে বিরত থাকত।
এভাবে শুভাশুভ নির্ণয়ের বিধান
প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, “কুলক্ষণে বিশ্বাস
করা শিরক”। [সুনান আবু দাউদ; তিরমিযী;
মিশকাত, হাদীস নং ৪৫৮৪]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কবর খুরতে গিয়ে ওখানে আগের কোনো লাশ বা অন্য কিছু থাকার ফলে যদি কবর দেয়া না যায়,তাহলে তাতে কুলক্ষণ বলা যাবে না।