ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।
(১৩) মাসআলাঃ
যদি কোন মেয়েলোকের তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখা যায়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখে, তবে আগেকার তিন দিন তিন রাত এবং পনের দিনের পর তিন দিন তিন রাত হায়েয ধরিবে। আর মধ্যকার দিন পাক থাকার সময়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৫ দিনের পূর্বে রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ১৫ দিনের পর রক্তস্রাবকে যদি ৩ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটাকে হায়েয গণনা করা হবে।সুতরাং ১৫ দিনের পরের সময় নামায রোযা থেকে বিরত থেকে অপেক্ষা করতে হবে, যদি ৩ দিনের বেশী রক্তস্রাব হয়,তাহলে সে সময়টাকে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নতুবা সেটা ইস্তেহাযা।
মাসের ১৫/১৬ তারিখে হায়েয হওয়ার সাধারন নিয়ম থাকলেও এই ফেব্রুয়ারিতে একটু দেরীতে হয়, তথা ২৮ তারিখ শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত ছিলো। এখন ১৫ মার্চে আবার রক্তস্রাব হলে সেটা নিঃসন্দেহে ইস্তেহাযা।