ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﺍﻟْﻌَﺸْﺮَ ﺍﻷَﻭَﺍﺧِﺮَ ﻣِﻦْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟُﻪُ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻩِ
রাসূলুল্লাহ সা. ইহকাল ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত রমজানের শেষ দশে এ'তেক্বাফ করতেন। অতঃপর উনার বিবিগণ এ'তেক্বাফ করেন। সহীহ বোখারী-২০২৬, সহীহ মুসলিম-১১৭২
,
মহিলারা ঘরের মসজিদে (নামাজ পড়ার স্থানে) বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবে। তবে সাবধান! পরবর্তীতে আর স্থান পরিবর্তন করা যাবে না। মহিলাদের জন্য শর্ত হল,হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা। এ'তেক্বাফের মধ্যখানে যদি হায়েয চলে আসে, তাহলে এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। কেননা তখন তো উনি আর রোযা রাখতে পারবেন না।
পরবর্তীতে কমপক্ষে একদিন রোযা সহ এ'তেক্বাফকে কাযা করে নেবেন।সম্ভব হলে অবশিষ্ট সকল দিনের এ'তেক্বাফকে রোযাসহ কাযা করে নিতেও পারেন।
,
স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য। তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।
খানা পাকানোর জন্য উনি পাকঘরে যেতে পারবেন না। তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানা রান্না করে নিতে পারবেন। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
,
★সুতরাং আপনি ঘরের নামাজ পড়ার স্থানে বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবেন। এক্ষেত্রে সেখানে প্রবেশ কালে ইতেকাফের নিয়ত করবেন। ঐ স্থান থেকেই যে কাজ গুলি করা যায়, সেগুলো করতে পারবেন। ঐ স্থান কোনোভাবেই ত্যাগ করা যাবে না। শুধু মাত্র পায়খানা পেশাব করার জন্য বাহিরে (টয়লেটে) যেতে পারবেন। দৈনন্দিনের গোসলের জন্য যেতে পারবেননা। যদি গোসল করেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ইস্তেঞ্জা (পেশাব/পায়খানা) করার জন্য বের হওয়ার সময় গোসলের কাপড় ইত্যাদি নিয়ে এক বারে বের হবেন, যাতে আবার সেই স্থানে আসতে না হয়। দ্রুত ইস্তেঞ্জা গোসল করে চলে আসবেন। উক্ত স্থান থেকে বাহিরে গিয়ে কাহারো সাথে কোনো কথা বলবেননা।
,
উক্ত স্থানে থেকেও অহেতুক কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। সর্বদায় কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার, নামাজ ইত্যাদিতে মগ্ন থাকবেন।
,
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি রুমটা ছোট হয় তাহলে পুরো রুমটাই ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি ঐ রুমের ফ্লোরে বসে বা বিছানায় বসে অথবা খাটে বসেও ইবাদত করতে পারবেন। আবার খাটে ঘুমাতেও পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
,
১. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি রুমটা ছোট হয় তাহলে পুরো রুমটাই ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি ঐ রুমের ফ্লোরে বসে বা বিছানায় বসে অথবা খাটে বসেও ইবাদত করতে পারবেন। আবার খাটে ঘুমাতেও পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। আবার প্রয়োজনীয় ও জরুরী কথা-বার্তাও বলতে পারবেন।
,
২. জ্বী হ্যাঁ, আপনার আম্মু ঐ রুমে থাকতে পারবেন এবং আপনারা দুজন একই সাথে ঘুমাতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
৩. ছোট রুম হলে কোনো সমস্যা নেই। পুরো রুম ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে পর্দা দিয়ে ঘেরাও করে নেওয়া জরুরি না।
,
৪. জ্বী হ্যাঁ, অনলাইনে তালীমে বসা যাবে এবং সেখানে দ্বীনি কথা-বার্তাও বলা যাবে।