আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।।।
আমার মেস মালিক হিন্দু, উনার মেয়ের বিয়ে, আমাদের মেসের সব মেয়েদেরকে দাওয়াত দিছে,এজন্য মেসে আলাদা ভাবে আর রান্না হবেনা!.ওইখানেই আমাদেরকে সবাইকে খেতে বলেছে!! 

  • এখন আমি কি ওইখানে খেতে পারব?
  • নাকি গুনাহ হবে খেলে?
  • একবারেই কি খাওয়া যাবেনা?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5143 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিজাতীয় ধর্মীয় উৎসবে তাদের পক্ষ্য থেকে পাঠানো হাদীয়া কবুল করা যায়।তবে তাদের ধর্মীয় উৎসবে শরীক হওয়া যায় না।কেননা তাতে অনেক শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড থাকে।ঠিকতেমনি তাদের ব্যক্তিগত কোনো অনুষ্টান যেমন বিয়েশাদী ইত্যাদিতে তাদের পক্ষ্য থেকে পাঠানো বৈধ হাদিয়া কবুল করা যাবে। কিন্তু তাদের অনুষ্টানো যোগদান করা যাবে না।কেননা তাতে শরীয়ত বিরোধী অনেক কর্মকান্ড থাকবে।
সুতরাং কোনো হিন্দু বন্ধু যদি তাদের বিয়েতে দাওয়াত দেয়,তাহলে উক্ত দাওয়াত কবুল করা যাবে না।যেহেতু তাদের উক্ত অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী অনেক কর্মকান্ড থাকবে।
বিজাতীয় উৎসবে তাদের কারো কাছ থেকে মুসলমানদের জন্য হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ বলেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﻗﺒﻮﻟﻪ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻨﻬﻢ ﻳﻮﻡ ﻋﻴﺪﻫﻢ، ﻓﻘﺪ ﻗﺪﻣﻨﺎ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻧﻪ ﺃﺗﻲ ﺑﻬﺪﻳﺔ " ﻳﻮﻡ ﻧﻴﺮﻭﺯ " ﻓﻘﺒﻠﻬﺎ .ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ - ﺃﻧﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : " ﺃﻣﺎ ﻣﺎ ﺫﺑﺢ ﻟﺬﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ، ﻓﻼ ﺗﺄﻛﻠﻮﺍ، ﻭﻟﻜﻦ ﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺃﺷﺠﺎﺭﻫﻢ ."ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺯﺓ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻬﺪﻱ ﺇﻟﻴﻪ ﻣﺠﻮﺱ ﻓﻲ " ﻧﻴﺮﻭﺯﻫﻢ " ﻓﻴﻘﻮﻝ ﻷﻫﻠﻪ : ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﻓﺎﻛﻬﺔ ﻓﻜﻠﻮﻩ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻓﺮﺩﻭﻩ "ﻓﻬﺬﺍ ﻛﻠﻪ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻻ ﺗﺄﺛﻴﺮ ﻟﻠﻌﻴﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻨﻊ ﻣﻦ ﻗﺒﻮﻝ ﻫﺪﻳﺘﻬﻢ، ﺑﻞ ﺣﻜﻤﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻴﺪ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﺳﻮﺍﺀ؛ ﻷﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺇﻋﺎﻧﺔ ﻋﻠﻰ ﺷﻌﺎﺋﺮ ﻛﻔﺮﻫﻢ،
[ﺍﻟﻤﻨﻬﺞ ﺍﻟﻘﻮﻳﻢ ﻓﻲ ﺍﺧﺘﺼﺎﺭ ﺍﻗﺘﻀﺎﺀ ﺍﻟﺼﺮﺍﻁﺍﻟﻤﺴﺘﻘﻴﻢ-١/١٢٨
ﻓﺼﻞ: ﺣﻜﻢ ﻗﺒﻮﻝ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﻳﻮﻡ ﻋﻴﺪﻫﻢ ﻭﺇﻳﺮﺍﺩ ﺍﻟﻨﺼﻮﺹ ﻋﻠﻰ ﺟﻮﺍﺯﻩ]
কাফিরদের কাছ থেকে তাদের উৎসব উপলক্ষ্যে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে হযরত আলি রাযি.এর হাদিস বর্ণনা করেছি যে, উনার কাছে নাইরুয দিনে হাদিয়া আসলে তিনি তা কবুল করে নেন।এবং হযরত আয়েশা রাযি থেকেও বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেনঃযে জন্তু সেই উৎসবের নামে যবেহ করা হয়েছে তা তোমরা খেয়ো না।তবে তাদের ফলমূলাদি খেতে পারো।হযরত আবু বারযাহ রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,নাইরুয দিনে কোনো এক অগ্নিপূজক তাকে কিছু হাদিয়া দিয়েছিলো, তখন তিনি তার পরিবারবর্গকে বলেছিলেন,হাদিয়া যদি ফলমূলাদি থেকে হয় তাহলে তোমরা খেতে পারো।আর যদি তা অন্যকিছু হয় তাহলে তা তোমরা ফিরিয়ে দাও।এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,কাফিরদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ তাদের উৎসব সমূহ বাধা প্রদাণ করবে না।বরং যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।কেননা তখন তা কাফিরদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সাহায্য করা হচ্ছে না।(আল-মানহাজুল কাওয়ীম ফি ইখতেছারে ইক্বতেযায়িস সিরাতিল মুস্তাক্বিম-১/১২৮)বিস্তারিত জানুন-1382

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত অনুষ্টানের শরীক হওয়া ও খাওয়া একজন মুসলমান হিসেবে আপনার জন্য কখনো উচিৎ হবে না। যদি তারা হালাল খাবারের আয়োজন করে থাকে, আর কোনো মুসলমান খাবার খেয়ে নেয়,তাহলে গোনাহ হবে না। যদিও কাজটি অনুত্তম হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...