আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

১. আজকে (৫-৬ দিন পূর্বে) একটি বিষয়ে ইস্তিখারা করি। এরপর স্বপ্নে দেখি-
আমার চাচাত বোনের মেয়ের ছেলে হয়েছে, আমার চাচাতো বোনের মেয়ে আমাদের বাসায় আসছে চমাকে দেখতে,অনেক গল্প করেছি তখন রমাদ্বন মাস,এরপর আমি অনেক কষ্ট করে ওর ছেলেকে দেখতে গিয়েছি। পথে সম্ভবত পানি কাদা ছিল। আমি ওর বাচ্চাকে দেখে ৫০০ টাকা হাদিয়া দিয়ে চলে এসেছি। আমাকে কাকি থাকার জন্য বলেছিল কিন্তু থাকিনি। এরপর বাসায় চলে আসি,  অনেকক্ষণ পরে একজন মহিলা আসছে বাসায়, সে নামাজ পরবে এটা বলে ঢুকেছে। মহিলাকে দেখেই আমি আমার মাকে বলি, মা উনাকে সুবিধার লাগছে না অন্যকোনো বাজে উদ্দেশ্য আছে মনে হয়, উনাকে ভিতরের রুমে অর্থাৎ আমার / আমার ভাবির রুমে যেতে দিয়েন না। এরপর মহিলা জোড় করেই আমার ভাবির রুমে ঢুকে সকল বোরকা খুলে ফেলে। আচরণ অস্বাভাবিক।  সে নামাজ পড়তেছে তাই আমি দাঁড়িয়ে আছি যে সে কি করে এটা দেখার জন্য।  দেখি হাত কেমন যেন করে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর আমি বলি আপনার কি হয়েছে? নামাজ পড়তে আসছেন নামাজ পরে চলে যাবেন এমন করছেন কেন? এরপর দেখি কেমন যেন বমি করতেছে, বমি গুলো সাধারণ কোনো বমি নয়, সেই বমি মধ্যে মুখ থেকে অনেক ধোঁয়া দিচ্ছে।  আমি অনেক রেগে গিয়ে মাকে ডেকে আনি। এরপর কী হয়েছে মনে নেই।
.
এরপর স্বপ্নে দেখি, আমার ভাইয়া বাসায় আসছে। আমাকে  একজন পাত্রের সামনে দেখা করতে নিয়ে যাবে। আমি ভাইয়া ভাবি ভাইয়ার ছেলে মেয়ে গিয়েছি একটা স্কুলে/রেস্টুরেন্টে। সেখানে আমি খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম। আমি আর আমার ভাবি বসেছিলাম এরপরেই ছেলে আসে। আমরা কিছু কথা বলি। আমাকে নাম কি, কি করি এগুলো জিজ্ঞেস করেছে। এরপর দেখি আমরা যেখানে বসে আছি সেখানে থাকা যাবে না কর্তৃপক্ষের নির্দেশ তাই নিচ তালায় চলে আসি। এরপর ছেলে ভাইয়াকে বলে এখানে নিয়ে আসছেন আবার নিচে যেতে হবে। ভাইয়া বলে আপনি এ জায়গার নাম বলেছেন না হলে তো এখানে আসতাম না।

 এরপর নিচতালায় আসি সেখানে ছেলে আমাকে কিছু প্রশ্ন করে, আমিও প্রশ্ন করি। এরপর দেখি ছেলে কিছুটা রেগে বলতেছে আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য হোক বা মায়ের পছন্দে হোক আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করব। এটা কয়েকবার বলেছে। স্বপ্নে তখন সবাই অবাক হয়ে ছিলাম,নিরবতা বিরাজ করছিল বাকিদের মাঝে। এরপরই ঘুম ভেঙে যায়।

২. আরএকদিন ইস্তিখারা করি স্বপ্নে দেখি- আমরা গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। সেখানে জমজমাট আয়োজন। আমার আম্মাদের(কাকি) বাসায় অনেক মেহমান। আমি সকল কাজ শেষ করে রাত ৯/১০ টার দিকে গিয়েছি। যেয়ে দেখি আমার আম্মা নকশি পিঠা বানিয়ে ২-৩ টা ছেনি উচু করে ফেলছে। এরপর ভিতরের রুমে যেয়ে দেখি আমার দুই বোন(কাজিন) বিভিন্ন রকমের পিঠা বানিয়ে পুরো রুম ভরে ফেলছে। এরপরেই দেখি আমার বোনের ছেলে উযু করে আসতেছে উনাকে দেখেই দৌড়ে আমাদের ঘরে চলে আসি।
এরপর দেখি যে পাত্রের দেখতে আসার কথা ছিল পরের সপ্তাহে সে ব্যক্তি এই সপ্তাহেই আসবে বলে জানিয়েছে। এটা শুনে আমার ভাবি আমাকে লুঙ্গি পরা প্রাক্টিস করাচ্ছে হাহা।  এরপরই ঘুম ভেঙে যায়।

৩. এরমাঝে ১ দিন বাদে প্রতিদিনই ইস্তিখারা করি প্রতিদিনই কিছুনা কিছু স্বপ্নে দেখি। স্বপ্ন গুলো এরকম-

★আমি আর ভাবি কোথাও একটা গিয়েছি যেখানে সেনাবাহিনীর rally বা মিছিল হচ্ছিল, আমরা অনেক্ক্ষণ পরে সেখান থেকে চলে আসি।  এরপর দেখি আমাদের বাসায় একজন মহিলা আসে,আমি তার সাথে গল্প করছি মোবাইল হাতে, পাশে আমার ভাবি নামাজ পড়ে মুনাজাতে অনেক কান্না করতেছে।

★কোথাও একটা গিয়েছি সেখানে আমার হ্যান্ড ব্যাগ চুরি হয়ে যায় অনেক খুজেও পাচ্ছিলাম না।

★কেমন এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে কোনো কিছু স্পর্শ করতে পারছি না এরকম কিছু কিন্তু স্পষ্ট মনে নেই

★আমার পরিচিত একজনের সাথে অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে। তার ওয়াইফ, মা সাথে আরও অনেক মানুষ ছিল সম্ভবত কোনো একটা প্রোগ্রামে দেখা হয়। সেখানে অনেক খাবার রান্না হচ্ছে কিছু খাবার সে ব্যক্তির মা এনে রেখেছে নিজেদের জন্য। ব্যক্তির মায়ের সাথে বউয়ের বোঝাপড়া ভালো যাচ্ছিল না সেগুলো আমায় বলতেছিল।  তো যে খাবার এনে রেখেছে সেগুলো আমি রান্না করে দিচ্ছিলাম কিন্তু পারফেক্টলি হচ্ছিল না। এরপরই দেখি সে ব্যক্তি তার বড় ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে বিয়ে পড়াচ্ছেন কাজি এনে অথচ আমি তার বড়োভাইকেই দেখিনি। (বাস্তবে তার কোনো বড়োভাই নেই)

৪. আজকে ইস্তিখারা করি ঘুমানোর পূর্বে কিন্তু স্বপ্নে কিছু দেখি না পরে ফজরের সময় দুয়াটা পড়ে ঘুমাই তখন স্বপ্ন দেখি আমি বাসায় যাচ্ছি, বিশাল এড়িয়া ফাকা জায়গা। তো এখানে ছেলেরা ক্রিকেট খেলতেছে। এরমধ্যে একপাশে একজন ছেলের হাতে ধারালো ছুরি যা দিয়ে সে অন্যএকজন ছেলেকে কোপাচ্ছে, ছেলেটির দুই হাত কেটে দিছে এরপর পা ও কাটতেছে কিন্তু কেউ ভয়ে কিছু বলতেছে না, সবাই যার যার খেলায় ব্যস্ত। আমি একা হওয়ায় কী করবো খুজে না পেয়ে খুবই সংকোচে হেটে আসতে ছিলাম, কিছুদূর আসার পরে কেউ একজন ইশারা দিলো সামনে আর একা যেও না ওদিকে মানুষজন পাবে না এই বাসায় লুকাও। আমিও কিছু না ভেবে সে বাসায় ঢুকে পরি। যেয়ে দেখি আমার মতো অসংখ্য মেয়েরা সেখানে লুকিয়ে আছে। আমি ভিতরের রুমে দেখলাম সেটি কিছুটা অন্ধকার তেমন কেউ নেই সেখানে। বারবার জানালার ফাকা দিয়ে দেংতেছিলাম খুনি ছেলেটা কোথায় দেখলাম সে আসেপাশেই আছে, হাতে ছুড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে।
.
এরপর দেখি আমার ফিরতে লেইট দেখে আমার মা কাদতে কাদতে সে বাসায় যায়, যে বাসায় আমি সহ অন্যমেয়েরা আশ্রয় নিয়েছিলাম। আমার মা আমাকে পেয়ে জড়ায়ে ধরে রাখছে।
এরপর সন্ধ্যার দিকে ছেলেটিকে না দেখে, আমরা সবাই বেরিয়ে পরি যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে আমার মা বলে এতদূর আরও জনৃানবশূন্য রাস্তায় কিভাবে যাব, আমার খালাত বোনের বাসা এখানে চল সে বাসায় কিছু সময় থাকি তোর আব্বা আসলে একসাথে যাব। এরপর মায়ের খালাতো বোনের বাসায় যাই যেয়ে দেখি সে খালামনির দুই ছেলে, তার ছোট ছেলেটিই খুনি,কিন্তু খালামনি কিচ্ছু বলতেছে যেন আরও সাহস দিচ্ছে ছেলেকে। এটা দেখে ভয়ে বোরকাই খুলিনি। আমাদের সামনেই সে ছেলে এদিক সেদিক যাচ্ছে, প্রতিবেশি বাচ্চা মেয়েদের সাথে খেলা করছে অথচ খালামনি কিছু বলছে না।
এরপর আমার আব্বা আসলে তিনজনই আল্লহর নাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে। এরপর কিছুদূর এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেছি। কিন্তু কোনো গাড়ি আমাদের গন্তব্য পর্যন্ত আসবে না। অনেকক্ষণ পরে দেখি একটি কালো হাত একটি রিক্সা এগিয়ে দিয়ে আড়ালে চলে গেল। আব্বা বলার সাথে সাথে রাজি হয়ে যাওয়াতে আব্বা উঠে বসেছে রিক্সায়। আমি দেখলাম রিক্সা চালকের চেহারা স্বাভাবিক নয় আবার কালো হাতের লোকটি একটি ট্রাক নিয়ে আসছে।  আমার মনে হলো সে ট্রাক চাপা দিয়ে আমাদের মেরে ফেলবে তাই আমি আব্বাকে বলি নেমে যান এ রিক্সায় যাব না।
এটা বলার পর লোকগুলো কেমন যেন আড় চোখে তাকিয়ে ছিল। পাত্তা না দিয়ে রিক্সা খুজতেছিলাম।
কিন্তু কোনো রিক্সাই পাচ্ছিলাম না। রাতও অনেক হয়ে গেছ। আমি দরূদ আর সূরা ক্বুরইশ পড়তেই আছি। আর মনে মনে বলছি, আমার রব আজ কবুল করতে এতো দেরি করছো আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে যে, এ বিপদের সময়।
এরপর আমার আব্বা বলতেছে আমি ট্রাক্টর চালিয়ে চলে যাই তোরা পিছনের রিক্সায় আয়। আমি কিছু বলিনি। আব্বা কিছুদূর যেয়ে চলে আসছেন।  এরপর সেখানে অনেক মানুষ আসে। একজন লোক আসে আমার পরিচিত, সে বলে এখান দিয়ে অমুক মেয়েটি আগে ভার্সিটিতে যেত কিন্তু গাড়ি পেত না তাই অম্যকোথাও চলেগেছে।
এরপর সে লোকই আমাদের জন্য রিক্সা ঠিক করে দেন, দেখে খুব শান্তি পেয়েছি এরপর আমরা চলে আসব তখনই সজাগ হয়ে যাই।

এ স্বপ্নগুলো কী ইস্তিখারা রিলেটেড স্বপ্ন? বা এ দ্বারা কী পসিটিভ/নেগেটিভ  কিছু ইঙ্গিত করে কী?

(লিখাটা অনেক বড়ো হওয়ার জন্য খুবই আফওয়ান আরও বিস্তারিত ছিল অনেক স্বপ্ন ছিল আরও বড়ো হয়ে যাবে তাই কয়েকটি স্বপ্নের কথা লিখেছি)

جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নগুলো আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

এ স্বপ্নগুলো ইস্তিখারা রিলেটেড স্বপ্ন নয়। বা এ দ্বারা পজিটিভ/নেগেটিভ  কিছু ইঙ্গিত করেনা।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন ভয়ানক স্বপ্নের অন্তর্ভুক্ত। 

আপনি এ স্বপ্নের কথা কাউকে বলবেননা। 
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন,রাতে ঘুমানো আগে অযু করে পবিত্র কাপড়,পবিত্র বিছানায় তিন কুল পড়ে শরীরে ফুক দিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।
একাকী ও পূর্ণ অন্ধকার রুমে না ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

আপনার জন্য করণীয় হল,
ইসলামের প্রত্যেকটি বিধানকে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন।

বিশেষকরে সঠিক সময়ে সালাত আদায় করুন এবং চাইলে কিছুটা দান-সদকাহ করতে পারেন।

কেননা হাদীসে এসেছে....
হযরত কা'ব ইবনে উজরাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﺑﻦ ﻋﺠﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻭﺍﻟﺼﺪﻗﺔُ ﺗُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﺨﻄﻴﺌﺔ ﻛﻤﺎ ﻳُﻄْﻔِﺊُ ﺍﻟﻤﺎﺀُ ﺍﻟﻨﺎﺭَ ) ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 614 )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহিসসালাম আমাকে বলেছেন,সদকাহ ভূলভ্রান্তিকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে মিটিয়ে দেয়। (তিরমিযি-৬১৪)

★এ স্বপ্ন ইস্তিখারা রিলেটেড স্বপ্ন নয়। বা এ দ্বারা পজিটিভ/নেগেটিভ  কিছু ইঙ্গিত করেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...