আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় মহাতারাম  ,আমি পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাই, পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে প্রয়োজনের কাগজপত্র নিয়ে যায়, যেগুলো নিয়ে যায় সেগুলো দিয়েই যথেষ্ট। কিন্তু তারা বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়ার জন্য চাহিদা করে।
যার মধ্যে কিছু কাগজ আমার দেওয়া সেই মুহূর্তে সম্ভব  নয়।অথবা তারা ১১০০ টাকা নিয়ে হয় কাগজপত্র দিয়েই পাসপোর্ট সাবমিট করে নেয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটাতো আমার ভুল হয়ে গেল, ওই অবস্থায় আমি  প্রায় বাধ্য। এখন একি আমার গুনাহ হয়েছে, আর যদি  হয়ে থাকে, তবে এই কিভাবে মাফ পেতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। 
(মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮২,মুসনাদে আহমাদ ১৭৮২২)

 কুতায়বা ও আলী ইবন হুজুর (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন বিচারক যখন কোন উপঢৌকন গ্রহণ করে, তখন সে যেন হারাম খায়, আর যখন সে ঘুষ গ্রহণ করে, তখন সে কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। মাসরুক (রহঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে, সে কাফির হয়ে যায়। তার কুফরী এই যে, তার নামায কবুল হয় না।
(সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫২/ বিভিন্ন প্রকার পানীয় [ও তার বিধান] (كتاب الأشربة)
হাদিস নম্বরঃ ৫৬৬৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঘুষ প্রদানের গুনাহ হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে খালেছ দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...