আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

১) আমার বাবা একজন নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষী। তিনি আল্লাহ এবং নবী রাসুলগণকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলেন। তিনি রাগী আর বদমেজাজি। আমি কিছু বলার সাহস পাই না। আমার খুবই খারাপ লাগে। আমার কি করণীয় নাসীহা করুন মিন ফাদ্বলিক।
পিতা শাতিম হলে করণীয় কী?

২) আমার কাছে কোন টাকা নাই হজ এর জন্য দু একশ করে গোপন স্থান এ রাখি অইটা আর ধরি না তাও খুব কম জমেছে শুরু করেছি মাত্র।এখন রমাদান এর সাদাকা থেকে ত মাহরুম হয়ে যাব। কী করব?  ওখান থেকে নিয়েই দিব?

৩) আমার আম্মু আব্বু যদি আমার নামে ব্যাংক এ একাউন্ট খুলেন এবং সেখান থেকে তারাই প্রতি মাসে টাকা জমা করেন আর বছর শেষে যদি জাকাত আসে তাহলে জাকাত কার উপর আদায় করা ফরজ হবে? আম্মু আব্বুর উপর না আমার উপর?একাউন্ট এর সব কিছু যদি তারা দেখাশোনা করেন আমাকে কিছু না জানান, আমার ফিউচার এর জন্য তারাই তাদের ইচ্ছে মতো জমা করেন সে ক্ষেত্রে সম্পদের মালিকানা তো তাদের যদিও আমার নামে খোলা তাই না?
মেহেরবানী করে একটু দ্রুত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েন শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি আপনার বাবা কে নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখা বইগুলো ক্রয় করে উপহার দিতে পারেন।

পাশাপাশি নম্র ভাষায় হিকমতের সহিত মাঝে মাঝে আপনার বুঝাতে পারেন।

সর্বোপরি মহান আল্লাহতালার কাছে আপনি অবিরত দোয়া চালিয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা একদিন আপনার দোয়া কবুল করবে।

(০২)
ঐখান থেকে সদকাহ করতে পারবেন,সমস্যা নেই।

(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হেবা পূর্ণ হওয়ার জন্য কবজা তথা হস্তগত হওয়া শর্ত,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু টাকা গুলো আপনার বাবা মা আপনার হাতে তুলে দেয়নি,আপনার আয়ত্তে দেয়নি,আপনি চাইলে সেই টাকাতে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারছেননা,বরং আপনার বাবা মাই হস্তক্ষেপ করতে পারছে,সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত টাকা গুলোর মালিক আপনার বাবা মা নিজেরাই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে টাকা গুলোর যাকাত আপনার বাবা মার উপরে আসবে।   
আপনার উপর নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عن عثمان وابن عمر وابن عباس رضي اللّٰہ عنہم أنہم قالوا: لا تجوز صدقۃ حتی تقبض۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۴ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত উসমান রাঃ ,ইবনে ওমর রাঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন ছদকাহ জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।  

عن معاذ بن جبل وشریح رضي اللّٰہ عنہما أنہما کانا لا یجیزانہا حتی تقبض‘‘ اہـ۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۵ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এবং হযরত শুরাইহ রাঃ হেবার পূর্ণ হওয়ার ইজাযত দেননা কবজা করার আগ পর্যন্ত।   

عن إبراہیم قال: الہبۃ لا تجوز حتی تقبض، والصدقۃ تجوز قبل أن تقبض۔ (المصنف لعبد الرزاق / باب الہبات ۹؍۱۰۷، التعلیقات علی الہدایۃ / کتاب الہبۃ ۶؍۲۳۸ مکتبۃ البشری کراچی)
সারমর্মঃ
হযরত ইবরাহীম রহঃ বলন জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।
ছদকাহ জায়েজ আছে কবজার আগেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...