হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ شِنْظِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফারয।
(ইবনে মাজাহ ২২৪.মিশকাত ২১৮, তালীকুল রগীব ১/৫৪ যঈফাহ ৪১৬; সহীহ- মুশকিলাতুল ফিকার ৮৬, ফিকহুস, সীরাহ ৭।)
★দ্বীনী ইলম অর্জনের সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, আলিমগণের নিকট থেকে ইলম অর্জন করা।
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন-
خُذُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ
‘ইলম অর্জন কর তা বিদায় নেওয়ার আগে’। সাহাবীগণ আরয করলেন-
وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟
আল্লাহর নবী! ইলম কীভাবে বিদায় নেবে, আমাদের মাঝে তো রয়েছে আল্লাহর কিতাব?
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথায় তিনি রুষ্ট হলেন। এরপর বললেন-
ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ أَوَلَمْ تَكُنِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمْ شَيْئًا؟ إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ، إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ
তোমাদের মরণ হোক! বনী ইসরাইলের মাঝে কি তাওরাত ও ইঞ্জীল ছিল না, কিন্তু এতে তো তাদের কোনোই উপকার হল না! ইলমের প্রস্থানের অর্থ তার বাহকগণের প্রস্থান। -মুসনাদে আহমদ ৫/২৬৬; আদদারেমী ১/৮৬, হাদীস ২৪৫
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
আকীদা বিষয়ে জানার জন্য ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ,কিতাবুল ঈমান বইগুলো অধ্যায়ন করবেন।
ফিকাহ বিষয়ে জানতে আহকামে জিন্দেগী, আহকামুন নিসা,বেহেশতি যেওর,আল ফিকহুল মুয়াসসার,নুরুল ইযাহ,,কুদুরী,শরহে বিকায়াহ,হিদায়াহ পড়তে পারেন।
দাওয়াহ সম্পর্কে জানতে দায়ী মুফতী যুবায়ের আহমদ সাহেব দাঃবাঃ এবং দায়ী মাওলানা কালিম সিদ্দিকী সাহেব দাঃবাঃ এর বইগুলো অধ্যায়ম করতে পারেন।
সিরাত সম্পর্কে এবং সাহাবীদের জীবনী জানার জন্য আর রহিকুল মাখতুম, হেকায়াতে সাহাবা,সিরাতে মুস্তাফা অধ্যায়ন করতে পারেন।
আদাবু ত্বলিবুল ইলম সম্পর্কে জানতে আল ইলম ওয়াল উলামা,শিক্ষার্থীদের সফলতার রাজপথ পড়তে পারেন
দোয়া সম্পর্কে জানতে আহকামে জিন্দেগী ও বিভিন্ন সুন্নাতের বই পড়তে পারেন।
ইসলামিয়া কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত বাংলা মিশকাত পড়ে নিতে পারেন। সেখানে নামায রোযা ইত্যাদি আমলের ফযিলত ও বিধি-বিধান জেনে নিতে পারবেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী জানার জন্য আর রহিকুল মাখতুম।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পরবর্তী ইতিহাস জানার জন্য,খিলাফতে রাশেদাহ,তারিখে মিল্লাত,খেলাফতে বনি উমায়্যাহ,আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ পড়তে পারেন।