ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু
জবাব,
بسم الله
الرحمن الرحيم
https://ifatwa.info/7510/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন:
وان كنتم
جنبا فطهروا
“যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা
অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
★হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ
الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ
خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً
يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى
فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ
فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ
تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى
رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ
الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ .
فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ
بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ
মায়মূনাহ
(রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের
গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা
তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে
ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান
থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা
গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন,
আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে
তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না,
বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে
পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}
ইমাম নববী
রহ. বলেন,
المضمضة
والاستنشاق واجبتان في الغسل دون الوضوء ، وهو قول أبي حنيفة وأصحاب
গড়গড়া কুলি
ও নাকে পানি দেয়া গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব;
ওযুর ক্ষেত্রে নয়। (কেননা,
ওযুর ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব নয় বরং
সুন্নাত।) এটি ইমাম আবু হানিফা রহ. ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত। (আল-মাজমু ১/৪০০)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/5183/?show=5183#q5183
গোসলের মাঝে
গরগরা করা ও নাকের গভীর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। বরং সুন্নত। এই জন্যই তো রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলে এবং
নাকের গভীরের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে,
তাই গড়গড়া ও নাকের নরম স্থানে পানি
পৌছানোর বিধান নেই।
স্বাভাবিকভাবে
কুলি ও নাকে পানি দিতে হয়।
★সুতরাং কেহ যদি কুলি করে,তবে গড়গড়া না করে,অথবা নাকে পানি দেয়,তব নাকের নরম স্থানে পানি না পৌছায়,তাহলেও গোসলের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। সেই গোসলে নামাজ হয়ে যাবে। কোনো সমস্যা নেই। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী
গোসলের ফরজ তিনটি:-
১. একবার কুলি
করা ফরজ।
১. একবার নাকের
নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা ফরজ।
৩. সমস্ত শরীরে
পানি পৌঁছানো ফরজ।
★গোসলের সুন্নতসমূহ:-
১. তিনবার
কুলি করা সুন্নত।
২. তিনবার
নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা সুন্নাত।
৩. সমস্ত শরীরে
তিনবার পানি ঢেলে ভালো করে ঘষে পরিস্কার করা সুন্নাত।
আরো কিছু সুন্নাত,
যাহা অনেকে মুস্তাহাবও বলেন।
১. গোসলের
নিয়ত করা।
২. গোসলের
শুরুতে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
৩. পেশাব পায়খানার
রাস্তা পরিস্কার করা।
৪. শরীরের
কোনো স্থানে নাপাকী থাকলে তা ধোয়া।
৫. অজু করা।
৬. পানি জমে
থাকে এমন স্থানে গোসল করলে, গোসলের পর সেই স্থান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে আপনার গোসল সহিহ হয়েছে। এতে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ, আপনি আপনার হাতে লেগে থাকা নাপাকী ধৌত করার দরুন আপনি পবিত্র
হয়েছেন।