আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর আপনাদের কাছে আমার দুটি প্রশ্ন আছে। (১) হুজুর এই ভাবে কি তালাক হয় যেমন আমি সিঁড়িতে পা দিতে যাচ্ছি এমন সময় আমার মধ্যে এটা উদিত হলো যে আমি যদি দুটো পা এক সঙ্গে মাছ বরাবর না রাখতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক। আর আমি রাখতে পারলাম না তাহলে কি আমার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে।মানে মনে মনে বলে কাজে সেটা যদি না করতে পারি তাহলে কি তালাক হবে না শর্ত মুখে উচ্চারণ করে কাজে সেটাকে পরিনত না করতে পারলে তালাক হবে। (২) হুজুর আমি সকালে উঠে দেখি যে আমার স্ত্রী আমার উপর রেগে আচ্ছে আমি জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে বলে যে তুমি কাল কে রাতে আমাকে বলেছো যাও যাও চলে যাও। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে কখন আমি তোমাকে এমন বললাম আমার স্ত্রী বলে যে তুমি গুইমে ছিলে আমি তখন তোমাকে জইরে ধরি তখন। আমি খুব চিন্তিত যে এটা তো কেনায় শব্ধ কিন্ত যদি এটা বলে ও থাকি আমি সকালে উঠে মনে করতে পারছিলাম না আমি তখন ঘুমের ঘরে ছিলাম আর আমি আগে পিছে আমার স্ত্রীকে তালাক দেবার ও কোনো নিয়ত ছিলনা আর এখন ও নেয় এখন এতে কি তালাক হবে আমি যে এমন কেনায় শব্দ বলেছি সেটা ও সকালে মনে করতে পারছিলাম না। (৩) হুজুর আমি একদিন মসজিদে নামাজ পড়তে যাই তো আমার এলাকার একটি ছেলে মসজিদে আসে আমি তাকে তার রাগানো নাম ধরে ডাকি যে এ নাড়ি পচা এটাই তার রাগানো নাম। সে জবাবে আমাকে বললো যে তোর ওযু ভেগে গেছে তুই ওযু করে আয় আমি তখন বললাম যে যদি তোকে নাড়ি পচা বলে ডাকলাম বলে যদি আমার ওযু ভেঙ্গে যাই তাহলে আমার বউ তালাক বলতে গিয়ে তাল বলে থেমে গিয়ে বললাম যে আমার মৃত্যু হবে। এখন এতে কি তালাক হবে। আর এটা কি ওযু ভঙ্গের কারণ হতে পারে।আর আমি কথাটা মনে মনে বলেছি বলে আমার মনে হচ্ছে আমি পুরোপুরি নিশ্চিৎ না এর সমাধান কি হবে জানাবেন প্লিজ । (৪) হুজুর তারপর একদিন আমি আর আমার স্ত্রী শুয়ে ছিলাম আমি মোবাইলে কিছু করছিলাম তখন আমি কি আমার স্ত্রী কে তালাক দিলাম নাকি কোনো শর্ত তালাক দিলাম আর উচ্চারণ করে দিলাম কি আমি আমি শিওর হতে পারছি না। তবে তালাক দেবার মত পরিবেশ তখন ছিল না খালী সন্দেহ হচ্ছে যে তালাক দিলাম কি মুখে উচ্চারণ করে দিলাম কি কিছুতেই নিশ্চিৎ হতে পারছি না। এর সমাধান কি হবে। (৫) তারপর একদিন একা বসে ছিলাম তখন তালাকের বিষয় কিছু ভাবছিলাম আর বলছিলাম এমন সময় আমি খুব জোরে শব্ধ না সামান্য শব্ধ করে আচ্ছা বললাম তারপর আমি চিন্তাই পড়ে গেলাম যে আমি আচ্ছা কেনো বললাম আচ্ছা বলে কি কোনো আমার স্ত্রীকে কোনো তালাক দিলাম নাকি কোনো শর্ত তালাক দিলাম কিছুতেই নিশ্চিৎ হতে পারছি না যে আচ্ছা কেনো বললাম। এখন আচ্ছা বলার দ্বারা যদি কোনো তালাক দিয়ে থাকি বা কোনো শর্ত তালাক দিয়ে থাকি যা আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না তাহলে কি সমাধান হবে হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (625,110 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্পর্কিত সর্ববৃহৎ ফাতাওয়া গ্রন্থ,আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ حَدَّثَ نَفْسَهُ أَنَّهُ يُطَلِّقُ زَوْجَتَهُ، أَوْ يُنْذِرُ لِلَّهِ تَعَالَى شَيْئًا، وَلَمْ يَنْطِقْ بِذَلِكَ، لَمْ يَقَعْ طَلاَقُهُ، وَلَمْ يَصِحَّ نَذْرُهُ  لِقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُِمَّتِي عَمَّا وَسْوَسَتْ - أَوْ حَدَّثَتْ - بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَل بِهِ أَوْ تَكَلَّمْ. وَقَال قَتَادَةُ بَعْدَ أَنْ رَوَى الْحَدِيثَ: إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِهِ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ. وَقَال عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ: لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ. وَعَلَّقَ ابْنُ حَجَرٍ عَلَى هَذَا الْقَوْل شَارِحًا لَهُ: أَيْ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ؛ لأَِنَّ الْوَسْوَسَةَ حَدِيثُ النَّفْسِ، وَلاَ مُؤَاخَذَةَ بِمَا يَقَعُ فِي النَّفْسِ
যদি কেউ মনে মনে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, বা মনে মনে কোনো নযর করে,এবং এ নিয়ে কোনো কথা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ না করে,তাহলে তালাক সাব্যস্ত হবে না।তার নযরও বিশুদ্ধ হবে না।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।কাতাদাহ রাহ উক্ত হাদীসকে বর্ণনার পর বলেন,মনে মনে তালাক দিলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।উকবাহ ইবনে আমির রাহ মনে করেন,ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত লোকের তালাক পতিত হবে না।ইবনে হাজর রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যা করে আরেকটু বাড়িয়ে বলেন,তালাক পতিত হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা হল,মনের কথা।আর মনের কথা দ্বারা তালাক পতিত হয় না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৩/১৪৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(২) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৫) প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...