আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by

হুজুর ছোট জিজ্ঞাসা তা হচ্ছে আমার বাসায় এখন এক রুম এ ভাড়াটিয়া আছে তো কথা হচ্ছে তার আগে যেই ভাড়াটিয়া ছিলো তারা versity পড়াশুনা করে কোন কাজ বা জব করতো না তো তারা তাদের অভিভাবক থেকে টাকা নিয়ে বাসা ভাড়া দিতো যেহেতু কোন কাজ করতো না তো আমাদের কি এইটা জানা উচিত নাকি মানে আমার অভিভাবক কের কি এইটা জানা উচিত যে ওর মা বাবা কি করে মানে ভাড়াটিয়া ছেলেদের আমরা তো ছেলেদের বাসা ভাড়া দিছি ওর মা বাবা কি করে এইগুলা তো আমার অভিভাবক এর জানার বিষয় না এবং আমাদের তো জায়েজ সেই ভাড়ার টাকা ব্যবহার করা যেহেতু ইতিমধ্যে সেই টাকা ব্যবহার ও হয়েছে তাই আমার মধ্যে কিছুটা এই নিয়ে চিন্তা হচ্ছে বিধায় জিজ্ঞাসা করছি।

বি.দ্র: আমি আমার মা এর সাথে কথা বলে জানছি তারা মানে এখন যেই ভাড়াটিয়া আছে তার আগে যে ২ জন ছিলো তাদের মধ্যে একজন এর বাবা কৃষি কাজ করতো আরেকজন এর বাবা ব্যবসা করতো কি ব্যবসা তা জানে না যে কি ব্যবসা করতো এবং এই কথা গুলা তো আমার মা আনদাজি বলে নাই ওদের থেকে শুনে বা জেনেই বলছে আনদাজি কেনোই বা বলবে তো এখন কতটুকু সত্যি ওদের কথা তা আল্লাহ ভালো জানেন।

জাযাকাল্লাহ খায়ের।

1 Answer

0 votes
by (68,490 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

জবাব,

بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/89793/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

وَمَنْ أَجَّرَ بَيْتًا لِيُتَّخَذَ فِيهِ بَيْتُ نَارٍ أَوْ كَنِيسَةٌ أَوْ بِيعَةٌ أَوْ يُبَاعُ فِيهِ الْخَمْرُ بِالسَّوَادِ فَلَا بَأْسَ بِهِ.

الهداية، 4: 94، المکتبة الاسلاميه

সারমর্মঃ- কেহ যদি বাসা ভাড়া দেয়,যাতে তার মধ্যে আগুনের ঘর বানায়,অথবা গীর্জা ইত্যাদি বানায়,অথবা সেখানে মদ বিক্রয় করে,তাহলে ভাড়া দাতার গুনাহ নেই।

وإذا استأجر الذمی من المسلم دارًا یسکنہا فلا بأس بذلک، وإن شرب فیہا الخمر أو عبد فیہا الصلیب أو أدخل فیہا الخنازیر ولم یلحق المسلم فی ذلک بأس لأن المسلم لا یؤاجرہا لذلک إنما آجرہا للسکنی. کذا فی المحیط. اھ (ہندیہ: ۴/۴۵۰،ط: زکریا)

সারমর্মঃ-

যিম্মি যদি মুসলিম থেকে ঘর থাকার জন্য ভাড়া নেয়,তাহলে এতে কোনো গুনাহ নেই। যদি সে উক্ত বাসায় মদ পান করে,,শুকর সেখানে প্রবেশ করায়,মুসলমানের এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা। কেননা সে তো বসবাসের জন্য ভাড়া দিয়েছিলো।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

ভাড়াটিয়া দের ইনকাম হারাম হলেও বাড়ির মালিককে ভাড়া বাবদ তারা যে টাকা দিবে, সেটি বাড়ির মালিকের জন্য হালাল। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাড়ির মালিক হিসেবে আপনারা ভাড়া গ্রহণ করতে পারবেন। এটি আপনাদের জন্য হালাল হবে। এতে আপনাদের গুনাহ হবেনা। তবে জেনে শুনে কোন হারামে লিপ্ত ব্যক্তিকে বাসা ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/81824/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...