আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in সাওম (Fasting) by (26 points)

আসসালামু আলাইকুম,

অসুস্থ বাক্তির রোজার কাফফারা কি এমন কাউকে দেয়া যাবে যিনি অভাবগ্রস্ত এবং দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে হাঁটতে চলতে পারছেননা এই মুহূর্তে, হয়ত বা তার নিজের রোজা করতেও পারছেন না (আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন)- (তার স্বামী মারা গিয়েছেন, এক ছেলে অটিস্টিক, ভাই এর সাথে থাকেন যিনি নিজেও পঙ্গু), কাফফারার টাকায় উনাদের উপকার হবে ইনশাআল্লাহ, কিন্তু উনি যদি নিযেই অসুস্থতা্র জন্য হয়ত রোজা রাখতে পারেননা, সেক্ষেত্রে কি উনাকে দেয়া যাবে? যদিও এটা জানার সুযোগ কম।  

কাফফারা হিসেবে প্রতিটি রোজার র জন্য সর্বমোট / সর্বনিম্ন কত টাকা দিতে হবে? এটা কি এখন না, রোজার মাস শেষ হওয়ার পর গুণে দেয়া উচিত কয়টি রোজা রাখা গেল/ গেলনা?

জাযাকাল্লাহু খাইরান!

1 Answer

0 votes
by (70,170 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ   

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [[٢:١٨٤]

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪]

যদি এমন অসুস্থতা হয় যা সুস্থ হয়ে রোজা রাখার মতো সম্ভাবনা না থাকে বা কম থাকে অথবা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হন, তাহলে প্রতি রোজার জন্য এক ফিতরা পরিমাণ ফিদইয়া দিতে হবে।

যদি এমন অসুস্থ্য হন যে, রোযা রাখতেই পারেন না, এমতাবস্থাই তার মৃত্যু চলে আসে, তাহলে তার রোযার ফিদিয়া ও আদায় করতে হবে না। যদি কষ্টকর হয়, কিন্তু আদায়ে সক্ষম হন, তাহলে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। প্রতিটি রোযার ফিদিয়া হল, গরীব মিসকিনকে প্রতিটি রোযার বদলে সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা বা গম, চাল, যব ইত্যাদি প্রদান করা। এক রোযার পরিবর্তে এক ফিদয়া ফরয  হয়। এক ফিদয়া হল, কোনো মিসকীনকে  দু বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো অথবা এর মূল্য প্রদান করা।

হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যিব রাহ. বলেন-

وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ

এই আয়াত রোযা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধের জন্য প্রযোজ্য।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৫৮৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২৬

ফিদিয়াহ হলোঃ এক ফিদয়া হল, কোনো মিসকীনকে  দু বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো অথবা এর মূল্য প্রদান করা। সহজ কথায় ছদকায়ে ফিতর সমপরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে দান করা।       যাহা বর্তমানে সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা আসে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত অসুস্থ, বৃদ্ধা ব্যাক্তি পরবর্তীতে সুস্থ হলে এর কাজা আদায় করবে,যদি তিনি আর সুস্থ না হোন,তাহলে  প্রত্যেক রোযার জন্য ফিদিয়া আদায় করবে। প্রত্যেকটি রোযার জন্য সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ (১১৫) টাকা গরিব মিসকিনকে দিবে। অথবা ১ জন মিসকিনকে ২ বেলা খাবার খাওয়াবে। বা ২ জন মিসকিনকে এক বেলা খাবার খাওয়াবে।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/14504/

বি:দ্র: আপনি যেই নারীর কথা বলেছেন, আপনার ভাষ্যানুপাতে তিনি যাকাত/ফেতরা গ্রহণের উপযোগী। বিধায় তাকে যাকাত, সদকাতুল ফিতর, ফিদিয়া ইত্যাদী দেওয়া জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
0 answers 2 views
...