بسم الله
الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ
তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
أَيَّامًا
مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ
أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ
فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ
إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [[٢:١٨٤]
গণনার কয়েকটি
দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে,
তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ
করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়,
তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান
করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ,
তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর,
যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪]
★যদি এমন অসুস্থতা হয় যা সুস্থ হয়ে রোজা রাখার মতো
সম্ভাবনা না থাকে বা কম থাকে অথবা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হন,
তাহলে প্রতি রোজার জন্য এক ফিতরা পরিমাণ
ফিদইয়া দিতে হবে।
যদি এমন অসুস্থ্য
হন যে, রোযা রাখতেই পারেন না, এমতাবস্থাই তার মৃত্যু চলে আসে, তাহলে তার রোযার ফিদিয়া ও আদায় করতে হবে না। যদি কষ্টকর হয়,
কিন্তু আদায়ে সক্ষম হন,
তাহলে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। প্রতিটি রোযার ফিদিয়া
হল, গরীব মিসকিনকে প্রতিটি রোযার বদলে সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা বা গম,
চাল,
যব ইত্যাদি প্রদান করা। এক রোযার পরিবর্তে এক
ফিদয়া ফরয হয়। এক ফিদয়া হল,
কোনো মিসকীনকে দু বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো অথবা এর মূল্য প্রদান
করা।
হযরত সায়ীদ
ইবনে মুসাইয়্যিব রাহ. বলেন-
وَعَلَى
الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ
এই আয়াত রোযা
রাখতে অক্ষম বৃদ্ধের জন্য প্রযোজ্য।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক,
হাদীস : ৭৫৮৫;
আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬৯;
আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২৬
ফিদিয়াহ হলোঃ
এক ফিদয়া হল, কোনো মিসকীনকে দু বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো
অথবা এর মূল্য প্রদান করা। সহজ কথায় ছদকায়ে ফিতর সমপরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে
দান করা। যাহা বর্তমানে সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা আসে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত
অসুস্থ, বৃদ্ধা ব্যাক্তি পরবর্তীতে সুস্থ হলে এর কাজা আদায় করবে,যদি তিনি আর সুস্থ না হোন,তাহলে প্রত্যেক
রোযার জন্য ফিদিয়া আদায় করবে। প্রত্যেকটি রোযার জন্য সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ (১১৫) টাকা
গরিব মিসকিনকে দিবে। অথবা ১ জন মিসকিনকে ২ বেলা খাবার খাওয়াবে। বা ২ জন মিসকিনকে এক বেলা
খাবার খাওয়াবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/14504/
বি:দ্র: আপনি যেই নারীর কথা বলেছেন, আপনার ভাষ্যানুপাতে তিনি
যাকাত/ফেতরা গ্রহণের উপযোগী। বিধায় তাকে যাকাত, সদকাতুল ফিতর, ফিদিয়া ইত্যাদী দেওয়া জায়েয আছে।