আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
edited by
আমার গতকার ইফতার এর ঠিক আগ মুহুর্তে টিস্যু দিয়ে দেখেছি ব্রাউন ডিসচার্জ যেতে।আমার প্রতিমাসে এ সময় ছি পিরায়ড হয়।এবং এমন ডিসচার্জ যায় ঠিক পিরিয়ডের আগ মুহূর্তে..আর এর ২ ঘন্টা পর আবার টিস্যু দিয়ে দেখি ডার্ক ব্রাউন ব্লাড এর মতো ছোট একটু চাঙ্ক এর মতো ।তখন শিউর হই পিরিয়ড ই। তবে আমি সবার সাথে সেহেরি করেছি।আর এখন পর্যন্ত না খাওয়া।এখন দুপুর ১২ টা প্রায়।এখন পর্যন্ত একটু ও ব্লাড যায়নি।প্যাড পড়েছিলাম গতকাল।সেখানে খুব ই সামান্য পরিমাণে হালকা ব্রাউন দাগ।এছাড়া কিছুই না।

আজকে ৩ য় দিন।এক ফোটা ব্লাড যায়নি।তবে আমি সালাত পড়ছিনা। গতকাল রোজায় কিছুই খাইনি।আজকেও খাচ্ছিনা।আমি এখন কি করবো?এটাকে পিরিয়ড ধরবো?যদি পিরিয়ড না হয় আমার রোজা সালাতের জন্য আমি গুণাহগার হবো?আমি আসলে কিছুই বুঝতেছিন।আআমি কতক্ষণ ওয়েট করবো এভাবে?আর আমার নামায রোজার কি হবে?

আমি কি এটাকে পিরিয়ড ধরবো?

রোজা ভাঙবো?আর যদি না হয়,আমি তো গতকাল এশা তারাবি আর আজকে ফজর পড়িনি।কি করবো?

প্লিজ কেউ তাড়াতাড়ি বলিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি তিনদিন তিন রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ঐ সময়কাল নামায রোযা থেকে বিরত থাকবেন। তিনদিন পরও যদি রক্তস্রাব না আসে, তাহলে তখন আপনি পূর্বের রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা ধরে নিবেন। এবং পূর্বের নামায রোযাকে কাযা করে নিবেন। তিনদিন তিন রাতের মধ্যে আবার রক্তস্রাব হলে সেটাকে হায়েয বিবেচনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...