আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in সাওম (Fasting) by (40 points)
নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে উত্তর দেওয়ার অনুরোধ রইলো হযরত
১.গত মাসের ২৭ তারিখে আসরের ওয়াক্তে হায়েজ শুরু হয়।হায়েজের ৬ষ্ঠ দিনে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে পরের দিন রোজা রাখা হয় এবং ঐদিন সারা দিনে কোন প্রকার রক্ত প্রবাহিত হয়নি।অষ্টম দিনে আবার লাল স্রাব নির্গত হতে থাকে।এরপর ৭ মার্চ আসর পর তো হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন  শেষ হয়ে যায় এবং আসরের পর থেকে ১১ তম দিন শুরু হয়ে যায় ।৭ মার্চ  মাগরিব এরপর আবারও লাল স্রাব দেখা যায় যা  এর আগে জীবনে কখনো এমন হয়নি যে হায়েজের দশ দিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রক্ত মিশ্রিত স্রাব নির্গত হয়েছে।জীবনের প্রথমবার এমন হলো।এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি হায়েজের দিন কিভাবে গননা করবো। দশ দিন হায়েজ ছিলো এটা ধরে নিব? নাকি আগের মাসে অভ্যাস অনুযায়ী  হায়েজের দিন হিসেব করবো?আমি যে রোজা টি রাখা হয়েছিল সে  রোজাটি কি কাজা করতে হবে?
২.আমার ভাই একটা মটরসাইকেলের দোকানে  চাকরি করে।রমাদান এর আগে আমার ভায়ের মালিল কিছু বাজার করে দেন তার সকল কর্মচারীদেরকে সেই হিসেবে আমার ভাইয়াও ঐ বাজারের অংশ পায়।আসলে মালিকের উপার্জন কতটুকু হালাল তা আমরা সঠিক জানিনা।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার ভাইয়ের মালিক আমার ভাই কে কর্মচারী হিসেবে যে বাজার দিয়েছে সেটা আমাদের জন্য খাওয়া  হালাল হবে কিনা?
৩.আমার সাদা স্রাবের অনেক সমস্যা প্রায় সময় আমার উপর মাযুর এর হুকুম থাকে আবার কখনো থাকেনা।নামাজ পড়ার পূর্বে গোপনাঙ্গ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর নামাজে দাঁড়াতে হয়।আমি সাধারণত গোপনাঙ্গ সাদা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে থাকি।গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করার সময় অনেক সময় দেখা যায় টিস্যুর কিছু অংশ গোপনাঙ্গের ভিতরে চলে যায় অজ্ঞতাবশত এবং যখন আমি বুঝতে পারি যে গোপন অঙ্গের ভিতরে টিস্যু আছে তখন আমি সেটা বের করে ফেলি।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার রোজা কি হবে যেহুত গোপনাঙ্গের ভিতরে টিস্যু চলে যায় এবং পরবর্তীতে আমি তা আবার বেরও করেছিলাম।টিসু যে গোপনাঙ্গের খুব বেশি গভীরে চলে যায় বিষয়টি এমন নয় একদম  সামনের দিকেই থাকে যার কারনে হাত দিয়ে সেটা সহজে বের করে ফেলতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে ৯ ই মার্চ আসরের আগে আপনার ১০ দিন পূর্ণ হবে।

৯ ই মার্চের পরেও আপনার হায়েজ আসলে সেক্ষেত্রে আপনি আগের মাসের অভ্যাস অনুযায়ী হায়েজের দিন হিসাব করবেন।

আপনার সেই রোযা কাজা করতে হবে কিনা? সেটি ডিপেন্ড করে সেই দিনটি আপনার হায়েজের দিন কিনা! তার উপর।


(০২)
সেটা আপনাদের জন্য খাওয়া  হালাল হবে। 

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার রোযা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 53 views
0 votes
1 answer 203 views
...