আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
১. যখন সাহরি খাই, এরপর যদি এমন হয় যে সাহরি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সময় শেষ হয়, তখন খাওয়ার একটা স্বাদ থেকে যায়। আমি যে খাবারটি খেলাম, আমার কফ ও থুতুতে সেই খাবারের রস পাই। এখন আমি যদি পানি পান করি, তাহলে এগুলো চলে যায়। কিন্তু অনেক সময় সাহরি শেষ করার পর পানি পান করার সময় থাকেনা।কুলি করা, এমনকি গড়গড়া করলেও আমি খেয়াল করি যে এটি থেকে যায়। অর্থাৎ, আমি যখন গিলি, তখন আমার মনে হয় ওই খাবারের রস পাচ্ছি । যখন সাহরি শেষ করে পানি পান করার সময় পাই না, তখন এটি ঘটে। এতে কি আমার রোজা ভাঙবে?

২. মসজিদে নামাজের সময় অনেকেই জায়নামাজ নিয়ে আসেন। এখন, কাতারে দাঁড়ানোর সময় কখনো কখনো অন্যের জায়নামাজের কিছু অংশের ওপর দাঁড়াতে হয়। সেই জায়নামাজটি হালাল টাকায় কেনা হয়েছে নাকি হারাম টাকায়, তা তো আমি জানি না। আমার জন্য কি তার জায়নামাজে দাঁড়ানো হালাল হবে?
৩. যদি পেশাবের বেগ থাকে, তাহলে আমি পায়খানার রাস্তায় একটু তরল জিনিস লক্ষ্য করি। এমনকি কম বেগ থাকলেও, মানে যেই বেগ থাকা অবস্থাতেও কাজ করা যায়, তখনও এটি ঘটে। এতে কি আমার ওযু ভাঙবে?
৪. একজন ইতালিতে কাজ করেন। তিনি নাকি একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন, যেখানে শুকরের মাংস কাটতে হয়। এটি অমুসলিমরাই খায়। তার কথা হলো,  এটি অমুসলিমরা খায়। এখন প্রশ্ন হলো, অমুসলিম দেশে যদি তিনি অমুসলিমদের খাওয়ার জন্য শুকরের মাংস কাটেন, তাহলে তার এই চাকরি হালাল হবে কি?

৫ الله শব্দ কে বাংলা আল্লাহ এবং ইংলিশে allah লেখা যাবে?

৬ আমার ছোট মামা দাড়ি রাখেনা তাকে আমি সালাম দিতে পারবো?

৭ কিছু সময় দেখি অনেকক্ষন হাটলে বা সফর করলে প্রস্রাবের বেগ না আসলেও পায়খানার রাস্তায় তরলতা আমি অনুভব করি এটা কি ঘর্মাক্ত হওয়ার কারণে বা ঘামে নাকি এটা নাজাসাত আমি বুঝতেসি না আমার কি ওযু ভাঙ্গবে ?

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/14452  নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বাহির থেকে কোনো বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর রোযা ভঙ্গ হবে কি না?

এ সম্পর্কে মূলনীতিঃ

এ ব্যাপারে ফকিহগণ একমত যে,ততক্ষণ পর্যন্ত রোযা ভঙ্গ হবে না, যতক্ষণ না পাঁচটি বস্তু একত্রিত হচ্ছে। অর্থাৎ কোন বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়না যে, পর্যন্ত নিন্মোল্লিখিত পাঁচটি জিনিষ পাওয়া যাচ্ছে।

হানাফী ফিক্বহের উসূল-

১। বস্তুকণার বৈশিষ্ট্যঃ দৃশ্যমান হওয়া, ছোট-বড়, পুষ্টিকর-অপুষ্টিকর যাই হোক।

২। গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিঃ গন্তব্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা। (বাদায়ে সানায়ে-২/২২৭)

৩। বস্তুকণার প্রবেশপথঃ মুখ, নাক, মলদ্বার। (চোখ, কান, মূত্রনালী, যোনীপথ, ত্বক, লোমকূপ ইত্যাদি গ্রহণোযগ্য প্রবেশপথ নয়।)

৪। বস্তুকণার গন্তব্যঃ গলা, পাকস্থলী, অন্ত্র। (ইতোপুর্বে মস্তিষ্ককেও অন্তর্ভুক্ত করা হতো, কিন্তু পরবর্তীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে জানা গিয়েছে যে, খাবার সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে না, তাই এটিকে গন্তব্য থেক বাদ দেয়া হয়েছে।)

৫। প্রতিবন্ধকঃ ভুলে অথবা আধিক্যের কারণে বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না। যেমন- কেউ ভুলে কোন ঔষধ খেয়ে ফেললো কিংবা ধোয়া ও ধূলাবালির আধিক্যের কারণে তা নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করলো, তাহলে এমতাবস্থায় রোযা ভঙ্গ হবে না।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে না। তবে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কুলি করে ফেলবেন। তারপরও স্বাদ অনুভব হলে কোনো সমস্যা নেই।

২. উক্ত জায়নামাজে দাঁড়াতে কোনো সমস্যা নেই।

৩ ও ৭. যদি পায়খানার রাস্তা দিয়ে ঐ তরল জিনিস বের হয়ে থাকে তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে। অন্যথায় অযু ভাঙবে না।

৪. না, উক্ত পেশা তার জন্য হালাল হবে না।

৫. জ্বী হ্যাঁ, লেখা যাবে।

৬. জ্বী হ্যাঁ, দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...