জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।
(সুরা মায়েদা ০৬)
পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ
عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ
অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যেহেতু পানি ব্যবহারের অনুমতি আছে,সুতরাং আপনি এখনো ওযুর সময় অ্যাংলেট এর উপর দিয়েই হাত বুলাতে পারবেননা।
সেক্ষেত্রে আপনার অযু হবেনা।
(০২)
যেদিন থেকে আপনার পানি ব্যবহারের অনুমতি আছে তারপর থেকে আপনি যে কয়দিন এভাবে পায়ের উপর হাত বুলিয়ে নিয়েছিলেন অর্থাৎ মাসাহ করেছিলেন, সে কয়জনের নামাজ যেহেতু আপনার হয়নি, তাই এ কয়দিনের নামাজগুলোর কাজা আপনি আদায় করে নিবেন।
(০৩)
কুরআনের সেজদাহ গুলো বসে বসে আদায় করা যাবে। দাঁড়ানো আবশ্যক না।
সুতরাং সুস্থ হলে সে সেজদাহ গুলো পুনরায় আদায় করতে হবে না।
(০৪)
তখনের গোসলের দ্বারা পবিত্রতা অর্জন হয়েছে।
পুনরায় ফরজ গোসল করতে হবেনা।