আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

আমি কয়েক দিন আগে জানতে পারি ঈমাণ ভেঙে গেলে বিবাহ ও ভেঙে যায়। তখন থেকে আমি ভাবতে থাকি আমার এরকম কিছু হলো কিনা। আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগছে:

১। প্রায় ৫/৬ বছর আগের কথা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সিনিয়র মুস্লিম  ভাই এবং একজন হিন্দু মেয়ের প্রেম ছিল। ধর্মের ভিন্নতার কারণে তাদের নাকি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল, এমন কথা শুনে আমার খুবই কষ্ট হয় কারণ তারা আমার খুবই কাছের ছিল। আমি সেদিন কষ্ট পেয়ে বলেছিলাম: ধর্মের কি কোন অধিকার আছে মানুষের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার। ধর্মের কোন অধিকার নাই, এমন করার।
আমি জানতাম না এটা বললে কুফরি হবে কিনা, ব এখনো জানিনা। তবে এই কথা বলছি মনে পড়ে আমি খুবই লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।

২। আমার বিয়ের কিছুদিন পর, এক বড় ভাই বলেছিলেন, বিয়ে ত করেছো। কিছু মাস্যালা জেনে রাখিও। বিয়ের পর কুফরি করলে বিবাহ ভেঙে যায়। আমি তার কথা সেভাবে বিশ্বাস করিনাই, কারণ এটা আমার বুঝে আসে নি। আমার মনে হয়েছিল, এভাবে বিয়ে ভেঙে গেলে ত, মানুষ না জেনে না বুঝে কত কিছুই করে ফেলে।

পরে কিছু দিন আগে একজন আলেমের বয়ান শুনে আমি বুঝি এবং বিশ্বাস ও করি।

৩। তাফসীর ইবন কাসীর পড়তে গিয়ে কিছু বিষয় বিশ্বাস হয় না, পরে সাথে সাথে মনে করি আমার বুঝে আসুক বা না আসুক, এটা আমাকে বিশ্বাস করতেই হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি মুচকি হাসিও দিয়ে ফেলেছি, পরক্ষনেই সাথে সাথে মনকে সংযত করেছি।

৪। ভুল ক্রমে, ও মাই গড বলে ফেললে কি কোন সমস্যা আছে?

৫। আমি কোরিয়ায় থাকি, এখানে সবাই নিজের মাথা নত করে অভিবাদন করে। আমি ও করেছি,  তবে খুব বেশি নত করি নি এবং আমার উদ্দেশ্য শুধু অভিবাদন করাই ছিল, তবে এখন সতর্ক থাকার জন্য আমি মাথা সোজা রাখি।


৭। আমি জানতাম হস্তমৈথুন করা পাপ, তবে ই ফাতওতাতে সম্ভবত এরকম পড়েছিলাম, কিছু কিছু আলেমের মতে এটা কবীরা গুনাহ আবার কিছু কিছু আলেমের মতে এটা জায়েজ, কিছু সময় নাকি ওয়াজিব। আমি তাই এটাকে জায়েজ মনে করেতাম গত কয়েক দিন ধরে।

পরে, আবার ওয়াজে শুনলাম এটা কবীরা গুনাহ। মনে হলো, আমার পড়তে ভুল হয়েছিলো। স্পষ্ট জানার পর থেকে এটাকে আমি কখনোই জায়েজ মনে করি নাই।

৬। না বুঝে, না জেনে কেও যদি এমন কিছু বলে ফেলে যা কুফরি হওয়ার শামিল, কিন্তু নামাজ কালাম পড়ে, আল্লাহ এবং রসুল কে বিশ্বাস করে তার কি ঈমাণ ভেঙে যাবে?

উল্লেখ্য, আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আল্লাহ এবং রসুলকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, এবং ইসলাম যে একমাত্র সঠিক ধর্ম সে বিষয়ে আমার কোন দিন বিন্দু মাত্র সন্দেহ ছিল না। কিন্তু জ্ঞানের অভাবে বা আবেগে কিছু ভুল কথা বলে ফেলেছি। এজন্য আমার বিবাহের কি কোন সমস্যা হবে?

আর আমার সমস্যা হলো ফতোয়া নেওয়ার পরে নতুন করে আবার অনেক রকম কথা মনে পড়ে। আবার যদি নতুন কোন কথা মনে পড়ে সেক্ষেত্রে আমি কি করব।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ওশরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক আপনি ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
হুজুর, আমি এ ব্যাপারে আমার স্ত্রীকে বলতে ভয় পাচ্ছি, ঈমাণ ত আমি প্রতিনিয়ত নবায়ন করি, বিবাহ কি নবায়ন করতেই হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...