আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ


এক দ্বীনি ভাইয়ের প্রশ্নঃ


(আসসালামু আলাইকুম
কবিরাহ গুনাহ(কর্মের) কারণে কাফের হয়ে যায় বলে খারেজিরা

আবার মুরজিয়ারা বলে যতই কবিরাহ গুনাহ করুক না কেন এটা ঈমানে প্রভাব ফেলবে না।


তাহলে আহলুস সুন্নাহ এর আকিদা কি?

কেউ যদি গুনাহ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যায় তার কাছে এটা কে সিরিয়াস কিছুই মনে না হয় তাহলে তার অবস্থান কি?

যেমন কেউ একজন ছোট থেকে খুন দেখে আসতেছে,সে জানে এটা কবিরাহ গুনাহ কিন্তু অভ্যস্ততার কারণে এটা বড় পাপ হিসেবে অনুভব হচ্ছেনা তাহলে সেইক্ষেত্রে কি হবে?

বা কেউ সুদ,ঘুষ খাচ্ছে আর সুদ, ঘুষ কে বড় অপরাধ ভাবেইনা। সেই ক্ষেত্রে বিধান কিরকম?

আমি জানিনা আমি বুঝাতে পারছি কিনা। আমি আসলে এটাই জানতে চাচ্ছিলাম যে এরকম কবিরাহ গুনাহ দেখতে দেখতে পাপের অনুভূতি টা ই কাজ করতেছেনা বিষয়টা কিরকম?)


এখানে প্রশ্নের মূল সারসংক্ষেপ হলো, গুনাহে কবীরা'কে হালকা মনে করা কি কুফর? এতে ব্যক্তির ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়? যদিও তাকফীর করাটা অনেক সতর্কতা এবং উলামাদের কাজ,


বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ,
জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (606,810 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/82623/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ

বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

فعلم أن تحريم الحلال يمين موجب للكفارة وما في بعض الروايات من أنه يحلف صريحا فليس هو في الآية ولا في الحديث الصحيح إلى آخر ما في فتح القدير 
মোটকথাঃ হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতুল্য।যা কাফফারাকে ওয়াজিব করবে।পরিস্কারভাবে কসমকে উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।(বাহরুর রায়েক-৪/৩১৭)

تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-
হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)

আরো জানুনঃ- 

إن استحلال المعصیة إذا ثبت کونہا معصیةً بدلالة قطعیة وکذا الاستہانة بہا کفر بأن یعدہا ہنیئةً سہلةً ویرتکبہا من غیر مبالاة بہا ویجریہا مجری المباحات في ارتکابہا، وکذا الاستہزاء علی الشریعة الغراء کفر؛ لأن ذلک من إمارات تکذیب الأنبیاء علیہم الصلاة والسلام (شرح فقہ أکبر لملا علي قاري:۲۵۴، ط: دارالإیمان، سہارنپور)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গুনাহে কবীরা'কে হালাল মনে করা বা তার হারাম হওয়া নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ করা কুফর।

তবে কবিরা গুনাহকে হালকা মনে করা কুফর নয়। এতে ব্যক্তির ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়না।
তবে এটি ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...