নামাজ বা যেকোনো ইবাদত কবুলের জন্য ঈমান হলো মৌলিক শর্ত, ইসলাম কবুলের আগে কোনো অমুসলিম এর ইবাদত গ্রহনযোগ্য নয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُہُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَہٗ لَمۡ یَجِدۡہُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰہَ عِنۡدَہٗ فَوَفّٰىہُ حِسَابَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿ۙ۳۹﴾
‘আর যারা কুফরি করে, তাদের আমলসমূহ মরুভূমির মরীচিকার মতো, পিপাসিত ব্যক্তি যাকে পানি মনে করে। অবশেষে যখন সে তার কাছে আসবে, তখন সে দেখবে সেটা কিছুই নয়।
আর সে সেখানে আল্লাহকে দেখতে পাবে। অতঃপর তিনি তাকে তার হিসাব পরিপূর্ণ করে দেবেন। আর আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সুরা নুর, আয়াত : ৩৯)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছেঃ “আর আমরা তাদের কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ্য করব, তারপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব।” [সূরা আল ফুরকান: ২৩]
ইরশাদ হয়েছে, ‘যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদের উত্তম প্রতিদান দেব।’ (সুরা নাহাল, আয়াত : ৯৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নামাজ বা যেকোনো ইবাদত কবুলের জন্য ঈমান হলো মৌলিক শর্ত, ইসলাম কবুলের আগে কোনো অমুসলিম এর ইবাদত গ্রহনযোগ্য নয়, তাই একজন অমুসলিমকে প্রথমে কালাম পড়ে ইসলামে দীক্ষিত করতে হবে, তারপর তাকে গোসল করার পর নামাজ পড়তে বলতে হবে।
তবে যেহেতু কাফেরদের সাধারণ মসজিদে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু যদি কোনো অমুসলিম কোনো মসজিদে এসে মুসলমানদেরকে দেখে এবং তাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করে এবং তার কাজে কোনো ফাসাদ/বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা না যায়,সেক্ষেত্রে তাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখা উচিত নয়, এটি তার জন্য পথনির্দেশের উৎস হয়ে উঠতে পারে এবং কাফেরদের সাথে এক কাতারে থাকার দরুন মুসলমানের নামাজ বাতিল হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
"عن الحسن أن وفد ثقیف أتوا رسول اﷲ صلی الله عليه وسلم فضربت لهم قبة في مؤخر المسجد لینظروا إلی صلاة المسلمین إلی رکوعهم وسجودهم، فقیل: یارسول اﷲ! أتنزلهم المسجد وهم مشرکون؟ فقال: إن الأرض لاتنجس، إنما ینجس ابن آد م". (مراسیل ابوداؤد/۶، رقم: ۱۷)
"وعن سعید بن المسیب أن أبا سفیان، کان یدخل المسجد بالمدینة وهو کافر". ( مراسیل ابو داؤد /۶، رقم:۱۸)
তাবিয়ি হাসান বসরি বলেন, যখন সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আগমন করল, তখন তিনি মসজিদে নববির পেছনের অংশে তাদের জন্য তাঁবু বানিয়ে দিলেন... তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি তাদেরকে মসজিদে থাকতে দিলেন, অথচ তারা মুশরিক? তখন তিনি বললেন, যমিন তো নাপাক হয় না, নাপাক হয় আদম সন্তান।
হাদীসের তাখরীজ (সূত্র):
(আবু দাউদ তার মারাসীল গ্রন্থে। আলী ইবনুল মাদীনি হাসান বসরির মুরসাল হাদীস সহীহ বলে গণ্য করেছেন)। [মারাসীল আবু দাউদ, হাদীস–১৭]
وقال الحنفیة : لایمنع الذمي من دخول الحرم، ولایتوقف جواز دخوله علی إذن مسلم ولو کان المسجد الحرام، یقول الجصاص في تفسیر قوله تعالیٰ: ﴿اِنَّمَا الْمُشْرِکُوْنَ نَجَسٌ فَلاَیَقْرَبُوْا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ﴾ یجوز للذمي دخول سائر المساجد". ( الموسوعة الفقهية ۱۷ ؍ ۱۸۹ الکویت )
সারমর্মঃ-
জিম্মিকে হারাম শরীফে দাখিল হওয়া হতে বাধা দিবে না আর সেখানে প্রবেশ করা বৈধতা কোন মুসলমানের অনুমতির উপর নির্ভর করে না যদিও সেটি মসজিদে হারাম হোক না কেন।