আসসালামু আলাইকুম আমার শশুর ইসলামি ব্যাংক এ চাকরী করেন,,আমরা শশুরের সাথে থাকি,,আমার স্বামী ছোটখাটো চাকরী করেন বিধায় শশুরই থাকা খাওয়ার সংসারের যাবতীয় খরচ চালান,,আমার খাওয়া আর থাকা ছাড়া পার্সোনাল যাবতীয় সব খরচ হাসবেন্ড ই দেন।আমার প্রশ্ন,,শশুর যেহেতু ব্যাংক এ চাকুরী করেন আর চাকরী ১০০% হালাল না আর আমরা যেহেতু খাই-দাই,,থাকি সেক্ষেত্রে আমরা কি গুনাহগার হবো?আমাদের কি করনীয় যদি হালাল না হয়?
২.শশুরের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আমার স্বামী তার জন্য একটা ৩০ হাজার টাকার কোর্স আর বাকি টাকা আমার বাচ্চা হওয়ার সময় প্রয়োজনে এটা সেটা কেনাকাটা করে(কার্ডের লিমিট ৫০হাজার)।সময় মতো টাকা দেওয়ার পরও মাসে মাসে সার্ভিস চার্জ বলে বলে ৫০০/৭০০ টাকা কেটে নেয়,,আমার শশুর বলেন এটা সুদ হবে না,,সার্ভিস চার্জ তো নিবেই।আমার প্রশ্ন,,ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা নেওয়া টা কি জায়েজ??এতে কি সুদের গুনাহ হবে?যদি গুনাহ হয় ভুলক্রমে বা না জেনে যেহেতু নিয়ে পেলেছে এখন কি করনীয়?ওই কোর্স থেকে জানা পড়াশোনা কাজে লাগিয়ে সামনে চাকরী করলে সেটা কি হালাল হবে?
৩.আমার শশুর আমার স্বামী কে বিদেশে মাস্টার্স পড়তে যাওয়ার জন্যে চাপ দিচ্ছে । আমরা আগে রাজি ছিলাম না যেহেতু কাফেরের দেশ,,কিনতু জয়েন্ট ফ্যামিলিতে নানাবিধ সমস্যার জন্যে এখন আলাদা হওয়ার চিন্তা করছি,,আর একমাত্র আমার স্বামী বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলেই সম্ভব আলাদা হওয়াটা,, যদিও আমাদের নিয়ত আমরা পার্মানেন্ট থাকবো না।পড়াশোনার পাশাপাশি হালাল জীবীকানির্বাহ করে (আমার হাসবেন্ড সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার) দেশে কিছু একটা করে আবার ফিরে আসা,,আমাদের নিয়ত এরকমটাই,,।আমার প্রশ্ন পারমানেন্ট না থাকার নিয়ত আর পড়াশোনার উদ্দেশ্যে দেশের বাহিরে যাওয়া যাবে কিনা(ইউরোপ)?