বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যতটুকু সাদৃশ্য যে অবলম্বন করবে তার উপর ততটুকু বর্তাবে। তারমানে শুধু ততটুকুর জন্যই গুনাহ হবে, আর বাকি ক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
(২)
আর যে বিধর্মীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে নবী( স) এর দলভুক্ত নয়।এটা মূলত ধমকি স্বরূপ বলা হচ্ছে।এর অর্থ এটা নয় যে, সে সে ইসলাম ও উম্মত থেকে খারিজ। বরং সাদূশ্য গ্রহণের অপরাধ যে কত বড় সেটা বুঝানোর জন্যই মূলত এমনটা বলা হচ্ছে।
(৩) টাখনুর নিচে কাপড় পড়া, পর্দা না করা, বাদ্য শোনা, বেগানা নারী দেখা। এগুলো কবিরা গুনাহ হলেও এর সাথে বিধর্মীদের সাদৃশ্য হবে না।কেননা বিধর্মীদের ধর্মীয় কোনো বিষয় বা তাদের বিশেষ কোনো শ্রেণীর বিশেষ কোনো আলামতকে গ্রহণ করার নামই মূলত সাদূশ্য গ্রহণ।
সাদৃশ্য গ্রহণ তিন কযেক ভাবে হতে পারে।(১)
ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)
পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)
কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম।
(ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু-দাউদ-৩৫১২)ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।