হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী দুজনকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন।
সহীহ, তিরমিজি ১৩৭৭,১৩৩৬,মুসনাদে আহমাদ ৬৮৩০.আবু দাউদ ৩৫৮০.
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
.
ঘুষ নেয়া কখনোই জায়েজ নয়। কিন্তু নিজের অনিবার্য প্রয়োজন পুরণার্থে, নিজের উপর থেকে জুলুমকে হঠানোর জন্য ঘুষ দেয়া জায়েজ আছে। কিন্তু নেয়া কখনোই জায়েজ নয়।
সেই হিসেবে ফরম বিক্রেতাকে টাকা দিয়ে আপনার ফরমটি গ্রহণ করা জায়েজ হয়েছে। কোন সমস্যা নেই।
তবে ফরম বিক্রেতাদের জন্য তা গ্রহন করা কোনো অবস্থাতেই জায়েজ হবেনা।
,
فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [١٦:١١٥
অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা জবাই কালে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। অতঃপর কেউ সীমালঙ্ঘন কারী না হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়লে তবে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। {সূরা নাহল-১১৫}
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ [٢:١٨٨
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। {সূরা বাকারা-১৮৮}
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا [٤:٢٩]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। {সূরা নিসা-২৯}
دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عن نفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262)
যার সারমর্ম হলো নিজের হক আদায়ের জন্য,জুলুম থেকে বাঁচার জন্য ঘুষ দেওয়া জায়েয আছে।
,
সুতরাং উক্ত অনলাইন জব যদি হালাল জব হয়,তাহলে ঘুষ দিয়ে সেই জব করা যাবে।
তবে এডমিনের জন্য উক্ত টাকা গ্রহন জায়েজ হবেনা।
.
যদি উক্ত টাকা ঘুষ না হয়,বরং উক্ত জবে প্রবেশের ফরম ইত্যাদি তাদের খরচাপাতি বাবদ হয়,তাহলে সেই টাকা প্রদান গ্রহন কোনোটাই নাজায়েজ নয়।