আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (84 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় নিয়ে হঠাৎ চিন্তা আসতেছে খুব।ক্লাস ৯ -১০ এর উপন্যাস বই এ একটা নাটক ছিল বহিপীর।ওখানে বহিপীরের বউ ছিল তাহেরা।কিন্তু ইজাব কবুলের ঘটন ঘটে নি।শুধু সবাই জানত মানে বইএ ছিল তাহেরা বহিপীরের স্ত্রী কিন্তু ইজাব কবুলের ঘটনা ঘটেনি ।তহ আমাদের ক্লাসের কয়েকজনকে বিভিন্ন চরিত্রে ভাগ করে দিয়েছিল আমাদের শিক্ষক ।ওইখানে অনেক গুলো চরিত্র ছিল।আমাকে তাহেরা হিসেবে সিলেক্ট করেছিল।তাহেরার কথা বলার পার্টটা আসলে আমি পড়ব সেই লিখা টুকু বই থেকে ।বহিপীরের পার্ট আসলে একটা ছেলে পড়বে সেই পার্ট টুকু বই  থেকে এমন ভাবে।পুরো ক্লাসের সবার সামনে পড়েছিলাম।ছেলে মেয়ে মিক্স ছিল ক্লাসে আর চরিত্রেও।নাটকে  বহিপীরে কয়েকবার তাহেরাকে বিবি বলেছিল মানে বইএ যা লিখা ছিল সেটা আমাদের ক্লাসের ঐ ছেলেটা পড়েছিল।নাটকে বলেছিল তাদের বিয়ে হয়েছিল কিন্তু সেটা  নাটকেও ছিল না ইজাব কবুলের ঘটনা আর পড়তেও হয়নি এমন কিছু।তাই ইজাব বা কবুলের কোন ঘটনা ঘটেনি।তহ এভাবে পড়ার কারণে কি কোন সমস্যা হবে?কোন ইজাব কবুলের ঘটনা ঘটেনি । আমি এখন বিবাহিত  মানে আমি অন্য জনের স্ত্রী।আমি শুনেছি ইজাব আর কবুলের ঘটন। না ঘটলে বিয়ে হয় না।অনেক আগে আপনাদের এখানে প্রশ্ন করেছিলাম আমি তখন বলেছিল ইজাব আর কবুলের ঘটনা না ঘটলে বিয়ে হয় না । আমার বিয়ের তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না? খুব চিন্তা হচ্ছে এটা নিয়ে।

1 Answer

0 votes
by (70,860 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল  আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। সুতরাং বিয়ের মজলিসে সাক্ষীর উপস্থিত ছাড়া বিয়ে সহীহ হবে না।

,

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ

আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্  বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)

,

ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

,

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো মৌলিকভাবে দু’টি। যথা-

১-ইজাব কবুল হওয়া।

২-দুইজন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা উক্ত ইজাব কবুল স্বকর্ণে শুনা।

,

ব্যস উক্ত দু’টি শর্ত পাওয়া গেলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।

যার পুরোপুরি ব্যাখ্যা হলোঃ-

স্বামী স্ত্রীকে ইজাব তথা প্রস্তাব দিবে বা কোন ব্যক্তিকে উকিল বানিয়ে স্বামীর পরিচয় ও দেনমোহর উল্লেখ করে প্রস্তাব দিবে, আর স্ত্রী সেই প্রস্তাবকে কবুল করবে। কিংবা স্ত্রী নিজে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে, কিংবা স্ত্রীর অনুমতিক্রমে তার উকীল গিয়ে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে। আর উক্ত প্রস্তাব এবং কবুল বলার বিষয়টি উপস্থিত থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন মুসলিম পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বকর্ণে শুনবে। তাহলেই শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়ে হয়নি। তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...