ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
জবাব,
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ،
عَنْ وَابِصَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي
خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ
ওয়াবিসাহ
(রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কাতারের
পিছনে একাকী দাড়িঁয়ে সলাত আদায় করতে দেখে তাকে পুনরায় সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। (আবু দাউদ ৬৮২.তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করা,
হাঃ ২৩১,
ইমাম তিরমিযী বলেন,
ওয়াবিসার হাদীসটি হাসান),
ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম,
অনুঃ কোনো ব্যক্তির কাতারের পেছনে
একাকী সালাত আদায় করা, হাঃ ১০০৪), দারিমী (১২৮৬), আহমাদ (৪/২২৮)।
ইমাম তিরমিজি
রহঃ বলেনঃ
وَقَدْ
كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ
وَحْدَهُ وَقَالُوا يُعِيدُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَبِهِ
يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ
يُجْزِئُهُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ
الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ
أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى حَدِيثِ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَيْضًا قَالُوا مَنْ
صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ يُعِيدُ . مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ أَبِي
سُلَيْمَانَ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَوَكِيعٌ
কিছু বিশেষজ্ঞ
আলিম কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা মাকরূহ বলেছেন। তারা আরো বলেছেন,
কেউ এভাবে নামায আদায় করলে তাকে আবার
নামায আদায় করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন।
অপর দল বলেছেন,
নামায হয়ে যাবে। সুফিয়ান সাওরী,
ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এমত গ্রহণ করেছেন।
কৃফাবাসীদের একদল ওয়াবিসার হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেন,
সারির পেছনে একাকি দাড়িয়ে নামায
আদায় করলে তা আবার আদায় করতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন হাম্মাদ,
ইবনু আবু লাইলা ও ওয়াকী"।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে শিরক হবেনা। এর দ্বারা কেউ কাফের হয়ে যাবেনা। তবে গাফলতির জন্য তাওবা করতে
হবে। আগামীতে জামাতের ব্যাপারে আরো বেশী যত্নশীল হতে হবে। কারণ, ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।