তারাবীহ সালাতে সর্বনিম্ন কতটুকু তেলাওয়াত করতে হবে?

Question

اسلام عليكم
উস্তাদজী, আমাদের গ্রামের মসজিদে আগে তারাবীহ এর সালাতে সূরা ফীল থেকে শুরু সূরা নাস পর্যন্ত পড়ে ২০ রাকাআত আদায় করা হতো। কোনো কোনো বছর খতমে তারাবীহ ও পড়া হত। তারপর এক রেওয়াজ চালু হয়েছিল সূরা আর রহমানের ৩/৪ আয়াত পড়ে একেক রাকাআত শেষ করা হত। দুই-তিন বছর যাবৎ দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ১/২/৩ আয়াত করে পড়েও প্রতি রাকাআত শেষ করা হচ্ছে।
এরকমভাবে তারাবীহ এর সালাত আদায় করা কতখানি যুক্তিযুক্ত এবং তারাবীহ সহ যেকোনো নামাজের জন্য প্রতি রাকাআতে সর্বনিম্ন কতটুকু তেলাওয়াত করা জরুরি?

তারাবীহ এর সালাত জামাতে পড়ার ব্যপারে কোনো বাধ্যবাধকতা আছে? নাকি একাকীও পড়া যাবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

তারাবিহর নামাযে সর্বনিম্ন কিরাত কতটুকু হবে,তা নিয়ে ফুকাহাদের নিকট মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। সর্বনিম্ন কিরাতের পরিমাঁন মাগরিবের নামাযের মতই।তথা বড় এক আয়াত অথবা ছোট্ট তিন আয়াত পরিমান। 

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع(1 / 289 ):

"ومنها: أن يقرأ في كل ركعة عشر آيات، كذا روى الحسن عن أبي حنيفة، وقيل: يقرأ فيها كما يقرأ في أخف المكتوبات وهي المغرب، وقيل: يقرأ كما يقرأ في العشاء؛ لأنها تبع للعشاء، وقيل: يقرأ في كل ركعة من عشرين إلى ثلاثين؛ لأنه روي أن عمر -رضي الله عنه- دعا بثلاثة من الأئمة، فاستقرأهم وأمر أولهم أن يقرأ في كل ركعة بثلاثين آيةً، وأمر الثاني أن يقرأ في كل ركعة خمسة وعشرين آيةً، وأمر الثالث أن يقرأ في كل ركعة عشرين آيةً، وما قاله أبو حنيفة سنة؛ إذ السنة أن يختم القرآن مرةً في التراويح، وذلك فيما قاله أبو حنيفة، وما أمر به عمر فهو من باب الفضيلة وهو أن يختم القرآن مرتين أو ثلاثاً، وهذا في زمانهم". فقط واللہ اعلم