আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আমার স্বামীর সাথে রোজার আগের দিন ঝগড়া হয়,সে আমার উপর রাগ হয়ে শর্তযুক্ত তালাক দেয়,আমি যদি অনলাইন থেকে কিছু কিনি,তাহলে সে দুই তালাক এর দিকে যাবে।

আমি কিছু কিনি ই নেই,সে নার্সিসিস্ট টাইপের,তার কাছে আমি হাত খরচ এর টাকা খুজেছিলাম,তাই সে ধারণা করে আমি অনলাইন থেকে কিছু কিনব,যাইহোক প্রথম রোজায় তার ডায়বেটিস ধরা পরে,আমার অনুশোচনা হয়,ভাবলাম তাকে আর কষ্ট দিব না।তবে আমি তার শর্তযুক্ত তালাকের জবাবে বলেছিলাম,আল্লাহর কসম,এই রোজা মাস যদি তুমি আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করো,তাহলে আমি আর খাবার পানি স্পর্শ করব না।এখন সে বাসায় আসছে,দ্বিতীয় রোজায়,আমাদের একবারে,৪র্থ রোজার সেহরি পর্যন্ত সহবাস হয়েছে,বাট আমার এভাবে কসম ভাঙা য় অনুশোচনা লাগত।আজ তাই আবার তাকে বললাম,আমরা রোজার বাকি দিন আর কিচ্ছু করব না।আমার খুব অনুশোচনা হচ্ছে,লাগছে কসম ভেঙে এভাবে আল্লাহ তায়ালার সাথে মশকরা করছি,যতবার সহবাস,ততবার ই তো কসম ভাঙা,।আমি তাকে ব লেছি,আমি পুরো মাস আর কিছু করতে ইচ্ছুক নই,তোমার ও শিক্ষা হোক,ঠুনকো বিষয় এ এভাবে তালাক না বলতে।এখন এই কসম সম্পর্ক্র আমার করণীয় কি?এভাবে বারেবারে সহবাসে ত গুনাহ হচ্ছে,তাই না???

আবার স্বামী ডাক ও অমান্য করতে হবে, এটা ও টেনশন লাগছে আমার।

1 Answer

0 votes
by (632,970 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
কসমের কাফফারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1808

কসম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপর কসমের কাফফারা আসবে। কসমের কাফফারা আদায় করে নিলে আপনার আর কোনো সমস্যা বাকী থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...