আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার এক পরিচিত বোনের কাগজে কলমে তালাক হয়ে গেছে প্রায় ৪ বছর আগে। স্বামী দ্বীনদার নয় এবং মোবাইল আসক্ত। স্বামী তালাক দিতে চায় নি। স্বামীর পরিবারের কেও ই ওনাদের বিচ্ছেদ চায় নি।  কিন্তু ওনার সংসার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তাই তিনি নিজেই ওনার পরিবারের সহায়তায় , কাজী অফিসে গিয়ে ওনার স্বামীকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়।
ওনার স্বামী তালাক দিয়ে দেয় (স্বাক্ষর করে) । কিন্তু তালাকনামার ১৮ নাম্বার ঘর ফাঁকা থাকে ।  সেখানে কত তালাক দিয়েছে, সেটা উল্লেখ করে নি। কিছুই উল্লেখ করে নি। স্বামী মুখে বলেছিল  "আমি মেনে নিলাম"। এখন অনেক আলেম নাকি বলেছেন এভাবে শারিয়াহ অনুযায়ী নাকি তালাক হয় নি।  ওনারা স্বামীর পরিবারের সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা কেও ই এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হচ্ছেনা।  শুধু একজন বলেছিল ঃ" ও ( স্বামী )তো সারাদিন ই বলে ,নাইমকে (আপু) তালাক দ"  এর পর কেও একজন এসে নিশেদ করায় আর কিছু বলেনি। "দ" দিয়েই কিছু বলতে চাচ্ছিল। এখন এটাকে  "দিয়েছে" মনে করে কি তালাকের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে?

ওনার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে নিয়েছে। কিন্তু অই বোন অনিশ্চয়তার জন্য অন্য কোথাও বিয়েও করছেন না
by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
তালাক নামায় ১৯ নাম্বারে লেখা আছে, "স্বামীর তালাক  প্রদানের অধিকার খর্ব হয়েছে কিনা: না " 


তালাক নামায় ১৮ নাম্বারে লেখা আছে, " স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করিয়াছে কিনা ? করিয়া থাকলে কি কি শর্তে? : ৬ মাস  খর পোষ না দিলে, কোন রোগে চির রোগী হইলে, বা স্বামী স্ত্রী সহবাসে হাজির না হইলে, স্ত্রী তালাক দিতে পারিবে। 

১৮ নাম্বারের এই অংশটুকু কাজী নিজে লিখেছে। তাও আবার তালাক হয়ে যাওয়ার পরে।  স্বামীর থেকে জেনে লেখেনি। নিজে থেকে লিখেছে। কাজীকে জিজ্ঞাসা করলে কাজী বলে,  সবার ক্ষেত্রেই এমন করে। 

এখন সন্দেহ শুধু এক  একটাই এভাবে কি তালাক হয়েছে কিনা।  এত বছর স্বামীর থেকে আলাদা থাকার ফলে স্ত্রীর কোন গুনাহ হচ্ছে কিনা। উনি কি অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারবেন কিনা। 

আর তালাক না হলে কি করনীয়? উনার স্বামী বা স্বামীর পরিবার কেউই এই বিষয়ে আর  যোগাযোগ করতে রাজি নয়! 


1 Answer

0 votes
by (632,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।)
(বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)

তালাকের অধিকার প্রদাণের মূহুর্ত সময়কালের কোনো উল্লেখ না থাকলে,
তালাকের অধিকার দেয়ার পর মজলিসের ভিতরে সেই অধিকারকে গ্রহণ করা যাবে এবং ফিরিয়েও দেয়া যাবে। মজলিস শেষ হওয়ার পর স্ত্রীর আর সেই অধিকার গ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67418

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট। আপনার কাছ থেকে আমাদেরকে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে। তারপর আমরা ফাতাওয়া জানাবো। দয়াকরে আমাদেরকে জানাবেন, স্ত্রীর কি তালাক গ্রহণের অধিকার ছিল? নোটিশে কি লিখা ছিল? স্বামী কোন কথা উপর দস্তখত করল? 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...