আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,071 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
closed by
যেহেতু গুগল,ফেসবুক ও টুইটারের মত কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগ ইনকাম আসে হারাম এড থেকে, তাই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করলাম। আমার আরেকটি প্রশ্ন হল এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল?  কারণ এখানে আমার জন্য পণ্যের দাম অল্প কিছুটা বাড়ছে। আল্লাহ তা'য়ালা আপনাদের ও আমাদের জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন্।
closed
by (1 point)
অনেক ধন্যবাদ। 

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
অনলাইনে অনেক ধরনের ইনকাম সোর্স রয়েছে,যদি এতে নাজায়েজ এর কোনো কার্যক্রম না থাকে,তাহলে তা নাজায়েজ হবেনা।
.
আর যদি কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজ থাকে,তাহলে সেখানে থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবেনা। 
,
অনলাইনে দেশী-বিদেশী যে কোনো কম্পানি বা ক্লায়েন্টের সাথে পারিশ্রমিক নির্ধারণ পূর্বক আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে কোন হারাম কাজ হতে পারবেনা।

যেমন সুদী কম্পানি বা মদ,জুয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত  কম্পানি বা ছবি আকার কাজ হতে পারবেনা।

সুতরাং হারাম কাজ থেকে বেছে থাকা এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণী হওয়ার শর্তে  প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ করে ইনকাম  জায়েয আছে।

আরো জানুনঃ  

অনলাইনে এড দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার বিধানঃ   

যদি হালাল উপায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, আর কোন নাজায়েজ বিষয় এতে সম্পৃক্ত না থাকে, তাহলে এভাবে অনলাইনে যেকোনো সাইট থেকে টাকা উপার্জন করতে শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। জায়েজ আছে। [জামিয়া বিন্নুরিয়া করাচি, পাকিস্তান, ফাতওয়া বিভাগ, ফাতওয়া নং-১০৫০৪]
,
★সুতরাং সেখানে যদি কোনো বাদ্য বাজনা না থাকে,কোনো মহিলার ছবি না থাকে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ করে টাকা উপার্জনের সুযোগ থাকলেও সতর্কতামূলক এহেন কাজ করা থেকে বিরত থাকাই উচিত।        

হাদীস শরীফে এসেছে   

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الْحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الْحَرَامَ كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ " . حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ .
নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ হালালও সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট এবং এ দুটির মাঝে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। তা হালাল হবে না হারাম হবে সেটা অনেকেই জানে না। যে লোক এই সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিজের দ্বীন এবং মান-ইজ্জাতের হিফাযাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবে সে নিরাপদ হল। যে লোক এর কিছুতে লিপ্ত হল তার হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ারও সংশয় থেকে গেল। (উদাহরণস্বরূপ) নিষিদ্ধ এলাকার আশেপাশে যে লোক পশু চড়ায়, তার এতে প্রবেশের ভয় আছে। জেনে রাখ! প্রতিটি সরকারেরই কিছু সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ্ তা'আলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়গুলো'।

- সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৮৪),বুখারী, মুসলিম

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোনো কোম্পানীর পণ্য বিক্রি করে দিয়ে কিংবা বিক্রিতে সহযোগিতা করে সে বিক্রিত মূল্য থেকে একটা কমিশন গ্রহণ করা। অর্থাত কোনো কোম্পানির হয়ে প্রচার করে অর্থ উপার্জনই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। 
এভাবে ইনকাম করা জায়েজ আছে,
তবে শর্ত হলো, পণ্য হালাল হতে হবে।
,
যদি পণ্য বা সার্ভিসটি কোন ভাবে হারাম হয়ে থাকে, তাহলে সেখান থেকে উপার্জন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম হবে।

وَلَمْ يَرَ ابْنُ سِيرِينَ، وَعَطَاءٌ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَالحَسَنُ بِأَجْرِ السِّمْسَارِ بَأْسًا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ” لاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ: بِعْ هَذَا الثَّوْبَ، فَمَا زَادَ عَلَى كَذَا وَكَذَا، فَهُوَ لَكَ ” وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ: ” إِذَا قَالَ: بِعْهُ بِكَذَا، فَمَا كَانَ مِنْ رِبْحٍ فَهُوَ لَكَ، أَوْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ، فَلاَ بَأْسَ بِهِ ” وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «المُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ»

ইবনু সীরীন, আতা, ইবরাহীম ও হাসান (রহ.) দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রা:) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও।  এতো এতো এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইবনু সীরীন (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে, তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে। (সহীহ বুখারী-১/৩০৩)

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...