আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (9 points)
আমি একবার প্রশ্ন করেছিলাম
"আমরা জানি পরীক্ষার হলে কারো থেকে হেল্প নিয়ে কিছু লিখা ইসলামে নিষিদ্ধ কারন এটা প্রতারণা। কিন্তু কেউ যদি চাকরির পরীক্ষায় সততার সাথেই টিকে, রিটেনে,ভাইভায় নিজ যোগ্যতায় টিকে কারো রেফারেন্স ছাড়াই বা প্রতারণা ছাড়াই কিন্ত ভাইভা বোর্ডের টিচাররা যদি তার জবের পরীক্ষার রেজাল্ট এর সাথে সাথে তার একাডেমিক রেজাল্ট কেও অগ্রাধিকার দিয়ে তার মতোই জবের পরীক্ষায় ভাল করা কোনো ছেলে যার সিজিপিএ কম তাকে বাদ দেয়,তাহলে প্রথম যে ব্যক্তির কথা বলছিলাম তাকে যদি চাকরি দেয়(কারন তার সিজিপিএ পরের জনের চেয়ে ভাল কিন্তু যে যদি একাডেমিক পরীক্ষায় কারো থেকে কোনো হেল্পই না নিত তাহলে হয়্ত তার সিজিপিএ সামান্য একটু কম হত, আর তাহলে তার চাকরি না হয়ে পরের জনের হয়ত চাকরি হত।এক্ষেত্রে তার সিজিপিএ এর কারনে সে অন্যজনের চাকরিটা পেয়ে গেল,এক্ষেত্রে কি সে পরের জনের হক নষ্ট করল? এক্ষেত্রে কি তার ইনকাম টা হারাম হবে?"

শায়েখ আপনি উত্তর দিয়েছিলেন
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার সিজিপিএ এর কারনে সে অন্যজনের চাকরিটা পেয়ে গেল,এক্ষেত্রে সে পরের জনের হক নষ্ট করল।
এতে তার গুনাহ হবে। তবে এর দরুন তার ইনকাম টা হারাম হবেনা।

এবার আমার প্রশ্ন হলো,: তার চাকরি নিয়ে যদি তার হক নষ্ট করা হয়, তাহলে বেতন টাই ছিল ওই ব্যক্তির হক ছিল। তাহলে কি বেতন টা হারাম হবে না? আর হারাম বেতন হলে তো কোনো ইবাদাত কবুল হবে না।শায়খ প্লিজ উত্তর দেবেন

1 Answer

0 votes
by (594,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/44807/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে। 
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে। 
,
কিন্তু নকল করে লিখলে  কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। যা জায়েজ হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://ifatwa.info/22757/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ পরীক্ষায় নকল করা জায়েজ নয়।
তবে নকলকারী  এই সার্টিফিকেট দিয়ে কোনো চাকরি করলে নিষ্ঠার সাথে তার কাজ আঞ্জাম দিলে তার চাকুরী বেতন হালাল হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার বেতন হারাম হবেনা। তার বেতন হালাল থাকবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...