জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
قَالَ رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنْ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبَرَ وَعَنْ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ أَوْ يُفِيقَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ وَعَنْ الْمُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ
তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে- ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবী আবূ বাকর রহ.-এর বর্ণনায় আছে, বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়। (ইবন মাজাহ ২০৪১)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, إنما جُعِلَ الإمامُ ليُؤتمَّ به؛ فلا تختلفوا عليه অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তার ভিন্ন হয়ো না। (সহীহ বুখারী ৭২২)
ইকরিমা রহ. থেকে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাযি. বর্ণনা করেছেন, لا يؤم الغلام حتى يحتلم নাবালেগ বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইমামতি করতে পারবে না। (মুসান্নাফে আব্দুররজ্জাক ৩৮৪৭)
বিখ্যাত তাবিয়ী মুজাহিদ রহ. বলেন,لَا يَؤُمُّ غُلَامٌ حَتَّى يَحْتَلِمَ নাবালেগ বাচ্চা বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইমামতি করতে পারবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৩৫০৬)
বিখ্যাত তাবিয়ী আতা ইবন আবী রাবাহ রহ. বলেন, لا يؤم الغلام الذي لم يحتلم যে নাবালেগ বালেগ হয় নি, ইমামতি করতে পারবে না। (মুসান্নাফে আব্দুররজ্জাক ৩৮৪৫)
উমর বিন আবদুল আযীয ও আতা রাহ. বলেন, নাবালেগ ছেলে যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে ইমামতি না করে। ফরয নামাযেও নয়, অন্য নামাযেও নয়।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৫২৪)
★নাবালকের ইমামতি সহিহ নয় এবং নির্ভরযোগ্য মতানুসারে , নাবালেগের পিছনে তারাবীহ নামাযও পড়া যাবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৪৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে সে যদি বালেগ না হয়,সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামাজ পড়া জায়েজ হবেনা।
এমতাবস্থায় তার পিছনে নামাজ পড়লে আপনাদের নামাজই হবেনা।
আরো জানুনঃ-