আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পবিত্রতা (Purity) by (45 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
আমার গত মাসে যে পিরিয়ড হয়েছিল তার ২০ দিন পর এখন আবার হয়েছে।তবে গত মাসের টা একদম স্বাভাবিক পিরিয়ডের মতোই ছিল কিন্তু এই বারের টা একদম অস্বাভাবিক।এমন টা আমার অনেক সময় হয়।সেটা হচ্ছে যখন থেকে এই ধরনের পিরিয়ড শুরু হয় তখন থেকে একদম স্বাভাবিক সাদাস্রাবের সাথে সামান্য রক্তের দাগ দেখা যায়।এখন যে পিরিয়ড টা চলছে সেটা হচ্ছে একদম পুরোটা স্বাভাবিক সাদাস্রাবই,শুধু মাঝে মাঝে সাদাস্রাবের সাথে একদম সুঁইয়ের আগার থেকেও কম পরিমাণ রক্তের দাগ দেখা যায়।যেটা একদম ভালো ভাবে না দেখলে বুঝাই যাবেনা যে এটা রক্ত।আগে যখন এই সমস্যা দেখা যেতো তখন সুঁইয়ের আগার পরিমাণের থেকে আরো বেশি রক্তের দাগ দেখা যেতো।এবার শুধু সুঁইয়ের আগার পরিমাণের থেকেও কম দেখা যাচ্ছে।হয়তো ১০ দিনের ভিতরে এই পরিমাণের থেকেও আরেকটু বেশি রক্ত দেখা যেতে পারে।এই  রক্ত টা আবার সব সময় দেখা যায় না।সারাদিনে হয়তো একবার দেখা যায়।কখনো কখনো সারাদিনে একবারও দেখা যায়না।তখন একদম স্বাভাবিক সুস্থই থাকি।এরপরের দিন হয়তো আবার একটা সুঁইয়ের আগার পরিমাণের থেকেও কম পরিমাণে একটু দেখা যায়।এই সমস্যাটা আমার ১০দিনের থেকেও বেশি থাকে।কখনো কখনো মাস অবধিও থাকে।এর মধ্যে একবারও পিরিয়ডের মতো স্বাভাবিক রক্তস্রাব বের হয়না।এখন আমি জানি একটু রক্তের দাগ এখন দেখা গেলেও পরে অনেক সময় ধরে এটা আর দেখা যাবেনা।কিন্তু ১০দিনের ভিতরে এটা কয়েকবারই দেখা যাবে।কারণ এই সমস্যাটা আমার সাথে এই পর্যন্ত একই নিয়মে অনেক বার হয়েছে তাই এটার সম্পর্কে একটা খুব ভালো ধারণা আছে আমার।এমন ধারণা থাকার শর্তেও আমি যদি ১০ দিনের মধ্যে যখন রক্তের দাগ দেখা যায়না তখন গোসল করে নামায,রোজা আদায় করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?নাকি এক পিরিয়ড থেকে অন্য পিরিয়ডের ব্যবধান ১৫ দিন পার হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যাটা কে পিরিয়ড ধরবো?মূলত যখন রক্তের দাগ দেখা যায় না তখন এই সাদাস্রাব দেখে আমার কাছে ভয় লাগে।দেখতে একদম স্বাভাবিক সাদাস্রাবের মতো লাগার কারণে আমি ভয়ে নামায আদায় করি।এখন রোজা কি রাখবো নাকি রাখবো না?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা যেহেতু তিন দিনের পরেও দেখা যাচ্ছে,আর পূর্ববর্তি হায়েজ বন্ধ হওয়ার নুন্যতম ১৫ দিন পর এটি বের হয়েছে, সুতরাং এটি হায়েজ।

১০ দিনের মধ্যেই এটি যদি বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আপনি গোসল করে নামাজ আদায় করলে ও রোযা আদায় করলে গুনাহগার হবেননা।

তবে সেই ১০ দিনের মধ্যে আবারো উক্ত ব্লাড আসলে সেক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ রোযা বন্ধ রাখবেন।
এই ব্লাড আসা বন্ধ হলে অথবা ১০ দিন হয় গেলে সেক্ষেত্রে আপনি গোসল করে নামাজ  ও রোযা আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...