আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। একদিন আমি আব্বাসী হুজুর এর একটা লাইভ দেখতেছিলাম। সেখানে তিনি কাকে যেন কাফের বলতেছিল। আমার মা পাশে থেকে শুনে বলতেছে- "এগুলা শুইনো না, যায়ে দেখো তাদের বাড়িতে আরো বেশি ঝামেলা ".  আমার মা দেখেও নাই কে কথা বলতেছে। পুরা কথাটা শুনেও নাই। একটু শুনেই এটা বলে দিছে। পরে আমি টেনশন করতেছিলাম কেন এই কথা বললো, তখন আমার মা বলতেছে- " আচ্ছা তুমি টেনশন কইরো না, পাপ হইলে আমার হবে। আমি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিতেছি"

প্রশ্ন: ১) আমার মায়ের "এগুলা শুইনো না, যায়ে দেখো তাদের বাড়িতে আরো বেশি ঝামেলা" এই কথা বলার কারনে কি ইমানে কোনো সমস্যা হবে?

#### আর একদিন আমি অনেক মন খারাপ করে ছিলাম। পরে আমার মা নামাজ এর সময় ওযু করে আমার কাছে আসছে। আমাকে বুঝাইতেছে কেন মন খারাপ করতেছি। তখন আমি আমার মা কে বলি যে, তুমি নামাজ পড়তে যাও। তখন আমার মা আমাকে বলে যে " তুমি এমন করলে  আমি নামাজ পড়বো কিভাবে? " এটা বলতে বুঝিয়েছেন যে, নামাজ একটু পরে পড়বে। আমি এমন মন খারাপ করলে আম্মুর ও মন খারাপ হয়।

২) নামাজ নিয়ে এই কথা বলার কারনে কি আমার মায়ের ইমানে কোনো সমস্যা হবে?

৩) প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই আলেম দের নিয়ে মন্তব্য করে, যেমন "এই আলেম খারাপ, এই আলেম এটা করছে, অমুক খারাপ কাজ করছে, তার জীবনের ঠিক নাই মানুষ কে বানী শুনায় "। আলেম হওয়ার কারনে না, নরমালি মানুষ এমন বলতেই থাকে তাদের ব্যাপারে। তাদের বিভিন্ন কথা, কাজের কারনে। তো এগুলা বললে কি ইমান চলে যাবে?

দয়া করে উত্তর দিবেন হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...