আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
edited by

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমি নিচের ক্যাশব্যাক নিয়ে প্রশ্নটা ৪/৫ দিন আগে হবে মুসলিম বাংলায় করেছি তো আমার প্রশ্ন আর ওনাদের উত্তর আমি কপি করে সেম টু সেম এইখানে নিচে উল্লেখ করেছি আর কথা হচ্ছে ওনারা উত্তর যেইটা বলছে/দিয়েছে এইটা কি ঠিক মানে ক্যাশব্যাক এর টাকা ব্যবহার তো করতে পারবো কোন সমস্যা তো নেই যেহেতু উত্তর এর নিচে পরামর্শ ও দিয়েছে যে কোন কোন ওলামায়ে কেরাম নাজায়েজও বলে থাকেন। তাই এর থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তো আমি কিছুটা বলতে পারেন confuse মনে হচ্ছে যে এখন আমি এই ক্যাশব্যাক ব্যবহার করতে পারবো বা আমি ইতিমধ্যে যদি এই ক্যাশব্যাক এর টাকা ব্যবহার ও করে ফেলি এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে বা হবে নাকি জায়েজ হবে বা হয়েছে এই টাকা ব্যবহার করা বা ব্যবহার করতে পারবো ভবিষ্যৎ এ যদি বিকাশ বা নগদ থেকে এমন ক্যাশব্যাক পায় আবার ও কোন ভাবে❓ 

আশা করি আপনারা আমাকে এই নিয়ে আরেকটু বুজাবেন যেন এই নিয়ে আমার মধ্যে confusing আর না হয়। এবং আপ্নারা হয়ত জানেন যে বিকাশে  অ্যাকাউন্ট করলে বা account এর সেটআপ/পিন সেট পুরা করার পরে বিকাশ থেকে এমন ক্যাশব্যাক দেয়. এবং যেই ক্যাশব্যাক পেয়েছি বিকাশ account করার পরে তার মধ্যে থেকে হুজুর ২০ টাকা আমি ফোন এ research ও করি আমার রবি সিম এ আর বিকাশে এ আছে এখন মাএ ০৫ টাকা তো আমাকে জবাব টা দিয়ে বুজিয়ে দিবেন যে আমি এই ক্যাশব্যাক এর পুরা টাকা ব্যবহার তো করতে পারবো। 

নিচে আমার  ক্যাশব্যাক এর প্রশ্নটা এবং উত্তর টা উল্লেখ্য করেছি হুজুর এর দেওয়া যেইটা মুসলিম বাংলা অ্যাপ এ জিজ্ঞাসা করেছি:

আমি বিকাশ account করেছি আজকে তো বিকাশ account করার পরে আমাকে মোট ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক দিয়েছে এই টাকা কি আমি ব্যবহার করতে পারবো ❓

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

এটি আপনার জন্য উক্ত কোম্পানীর পক্ষ থেকে হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত ক্যাশব্যাক ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ‏.‏ قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا‏.‏ وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ‏.‏ ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ‏”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

পরামর্শ:

কোন কোন ওলামায়ে কেরাম নাজায়েজও বলে থাকেন। তাই এর থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

 

আরেকটা প্রশ্ন এইটার জবাব ও আমি অনেক আগেই মুসলিম বাংলায় পেয়েছি কিন্ত তাও এখন আবারো আপনারা জবাব টা দিলে এই নিয়ে আশা করি আর চিন্তা হবে না তো আমার আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে :

হুজুর যদি divorce এই বাক্য এর শুধু divo কয়েকবার ইচ্চা করে বা কথার টাইপিং এ লেখে ফেলি বা লেখি এতে কি তালা''' জনিত কোন সমস্যা হবে? আমি জানি তালা'''' পুরা বাক্য না বললে না লেখলে তালা"""" হয় না তো english এ ও যদি শুধু divo লেখা হয় হোক তালা''''' এর নিয়তেই তো এর দ্বারা কি কোন সমস্যা বা তালা'''' তো হবে না ❓জানাবেন মুফতি সাহেবরা

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
জ্বী,উক্ত ফতোয়া সহীহ।
,
বিকাশ সহ অন্যান্য অনেক কোম্পানি যে মাঝে মাঝে গ্রাহকদের ক্যাশব্যাক স্বরুপ কিছু টাকা হাদিয়া দেয়,যাহা নেওয়া বৈধ।

এটি আপনার জন্য উক্ত কোম্পানীর পক্ষ থেকে হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত ক্যাশব্যাক ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
এটা ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন।
উক্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...