আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
ইতিকাফ নিয়ে একটু ইনডিটেইলস জানতে চাইছিলাম।
ইতিকাফরত অবস্থায় কি কারো সাথেই কথা বলা যাবে না? প্রয়োজনেও কথা বলা যাবে না?
বা ইশারায় কথা বলা যাবে কি?
আর গোসলের বিধানটা কি?
রেগুলার করা যাবে নাকি একেবারে ইতিকাফ এর শেষের দিন?
ইতিকাফের জায়গা থেকে কি ওঠা যাবে? মানে অন্য রুমে যাওয়া যাবে কিনা।


ইতিকাফ রত অবস্থায় করণীয় বর্জনীয় গুলো জানতে চাই।  প্রথমটি ছিলো আমার প্রশ্ন, এখন যেটা লিখছি, সেটি আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছিলো, আমি সেভাবেই তুলে দিচ্ছি।

আমি জানতাম ইতিকাফে বসলে কথাবার্তা বলা যায় না,ঘরের কাজ করা যায় না আমার বয়স্ক ফুফু মনে করলেন আমার ছোট বোন আর আমি যদি বসে যাই উনি যে এটা ওটা করার জন্য ডাকে তা কে করে দিবে এইজন্য উনি রাগ ও করলেন বকা দিলেন বললেন মরব্বীদের কথা শুনা এর থেকে বেশি সওয়াব,আর একজন বসলেই নাকি সবার আদায় হয়ে যায়,তাই আমার ছোট বোন বসছিলো আমি  বসিনি।

এই ব্যাপারটা তার সাথে গতবার ঘটেছে। ঘরের কাজ/মুরব্বিদের কথা শোনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি ইতিকাফ এ বসা?

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وليس لها أن تعتكف في غير موضع صلاتها من بيتها وإن لم يكن فيه مسجد لا يجوز لها الاعتكاف فيه ولا تخرج من بيتها إذا اعتكف فيه قال - رحمه الله - (ولا يخرج منه إلا لحاجة شرعية كالجمعة أو طبيعية كالبول والغائط) لما روينا من الأثر عن عائشة - رضي الله عنها - ولما روي عنها أنها قالت «كان النبي - صلى الله عليه وسلم - لا يدخل البيت إلا لحاجة الإنسان إذا كان معتكفا» متفق عليه تريد البول والغائط هكذا فسره الزهري 
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে কোনো মসজিদ না থাকে তথা নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকে।তাহলে উক্ত ঘরে এ'তেক্বাফ করা জায়েয  হবে না। যখন মহিলা কোনো কামরায় এ'তেকাফ শুরু করে দিবে তখন সে মহিলা আর ঐ কামরা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।তবে শরয়ী প্রয়োজনে যেমনঃ জুম্মার সালাত(এটা তখনকার বিধান যখন ফিৎনা ছিলনা), এবং প্রকৃতিগত প্রয়োজন যেমন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির জন্য ঐ কামরা থেকে বাহিরে যাওয়া যাবে।যেমন হয়রত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এ'তেক্বাফ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে ঘরে আসতেন না।জরুরী প্রয়োজন বলতে প্রস্রাব-পায়খানা উদ্দেশ্য। (তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/৩৫০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1322

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সমস্ত ঘরকে যেহেতু মসজিদ বানানো সম্ভব নয়, তাই সমস্ত ঘরকে ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করাও সম্ভব হবে না। বরং শুধুমাত্র নামাযের জন্য নির্দিষ্ট জায়গাকেই ইতিকাফ স্থল হিসেবে বাঁচাই করে নিতে হবে।ইতিকাফ স্থলে বসে কথা বলা যাবে। ইতিকাফ স্থল থেকে বাহির হয়ে কথা বললে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১. উস্তাদ গোসলের বিষয়টিও জানতে চেয়েছিলাম। একজনের প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছেন দেখলাম, মসজিদের ভিতরে গোসল করার ব্যাবস্থা থাকলে প্রতিদিন গোসল করা যাবে। আমি যে রুমে ইতিকাফে বসব, সে রুমে এটাচড বাথরুথ থাকলে আমি কি প্রতিদিন গোসল করতে পারব? 
গোসলের বিধানটা আসলে কি? সময় নষ্ট যেন না হয়, তাই গোসল করতে নিষেধ করা হয়, নাকি এমনিতেই নিষিদ্ধ? 

২. আরেকটা প্রশ যেটা করেছিলাম সেটা বলে দেন উস্তাদ। মুরব্বিদের কথা শুনে ঘরের কাজ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি ইতিকাফে বসাটা গুরুত্বপূর্ণ? বোনদের মধ্যে একজন ইতিকাফে বসলেই কি হয়ে যাবে? 
by
উস্তাদ, এ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন, আমি কি ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারব অযু করার আগে? 
সাবান/শ্যাম্পু কি ব্যবহার করা যাবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...