আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)

আগে আমার বিশ্বাস এমন ছিল যে, হানাফি মানলেও অন্য মাজহাবকে আমরা ভুল বলতে পারবনা, এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করবনা। যদিও আলেমদের অনেক জিনিসে ইখতিলাফ এখনো আছে। নবীজী(সা.) এর সময় কোনো মাজহাব ছিলনা৷ সবাই ইউনাইটেড ছিল।
নিচের লিংকের কথাগুলো আগে কখনো শুনিনি-
https://www.facebook.com/384087918450930/posts/pfbid0iBj5pPpmKHruviwojka4NMqjgHRf8eEhY5WFTaUNrWQSGQrcEGvww7x2Ld8jwdool/?app=fbl
এই মারামারিগুলো কি ইসলাম সমর্থন করে?
আমি সেকুলারিজমের সবচে বড় দূর্বলতা ভাবতাম এই নানা সাবজেক্টিভ মতের মাঝে ক্ল্যাশ, এত বিশৃঙ্খলা এত ফিতনা৷ পরে দেখলাম ইসলামেও এমন আছে। কিন্তু এটা নিয়ে আমি এমন জানতাম যে, ইসলামের এই সাবজেক্টিভ পার্থক্যগুলো ক্ল্যাশ হওয়ার জন্য যথেষ্ট না। সবাই সবারটা পার্সোনালি মানতে পারে। একটা হানাফি বেশি থাকা এলাকায় হানাফি দিয়ে চললেই হয়। কারো ব্যক্তিগত ইগো বা মাসলাক নিয়ে বাড়াবাড়ি না থাকলে এগুলো নিয়ে ঝামেলা লাগার কথা না। আর লাগলেও আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে ইসলামের স্বার্থে একমত হয়ে যাওয়া সম্ভব। যদি সিনসিয়ারলি একমত হয়ে অবজেক্টিভ সত্যির থেকে দূরের কোনো মতও মানা হয়, তাহলে ওটাতেই আল্লাহ বরকত দেন। এরপরেও ঝামেলা লাগলে আল্লাহ কি ওগুলো সমাধানের পথ দেখাননি? নিজেদের মাঝে ঝামেলা হলে কি শত্রুরা সুযোগ পেয়ে যায়না?
উনাদের প্রশ্ন করলে উনারা বলেন এগুলো ইসলাম-সম্মত এবং স্বাভাবিক। কিন্তু আমি অনেককিছু মেলাতে পারছিনা তাই এখানেও প্রশ্নটা করলাম।
এগুলো ইসলাম-সম্মত হলেও অ্যাপ্রিশিয়েটেড কি? তাড়িয়ে দেয়া হোক, কিন্তু মাজহাব নিয়ে মারামারি করে একদম মানুষ মেরে ফেলা?
সেকুলারিজমে দেশ অসৎভাবে অল্প কয়জনের মতে চললেও সাধারণ মানুষের মাঝে তো ঝামেলাগুলো হয় সাবজেক্টিভ মোরালিটির জন্য। যে যতই সিনসিয়ার থাকুুক তাও একেকজনের ঠিক ভুল একেকরকম দেখে বিশৃঙ্খলা।
তাহলে ইসলামও এটা বন্ধ করেনা, শুধু লিমিটেড করে? আবার এখন সেকুলার আইন থাকায় যে পার্থক্যগুলো বিভিন্ন মাজহাবের মানুষরা ইগনোর করতে পারছেন ওগুলা ইসলাম ক্ষমতায় আসলেই বিরাট বড় হয়ে যাবে? খিলাফত বিশাল বড় হলে তো পার্থক্যও বিশাল হবে, তাহলে শরীয়ত যত বিস্তৃত জায়গায় ছড়াবে, ততই দূর্বল হয়ে যাবে খিলাফত? কাফিরদের ক্ষমতা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে?
তাহলে পূর্নাঙ্গ জীবনবিধান বলতে কী বোঝানো হয়?
ইমান আর ফিতরাত দূর্বল দেখে প্রশ্নগুলো করা। ইসলামে বিশ্বাস করার অনেক বড় একটা কারণ ছিল এটাও, যে সমাজে অবজেক্টিভ আইন না থাকার জন্য বিশৃঙ্খলাগুলো বন্ধ করে।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
হুজুর আমি মেয়ে মানুষ, পার্সোনালি তো কোথাও যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। এমন মাহরামও সম্ভবত যার মাধ্যমে জানা যাবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...