আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ

✒️ পুরুষদের টাখনুর নিচে কাপড় পড়া

ইমাম শামসুদ্দীন ইবন মুফলিহ (৭৬৩ হি.) বলেন :

وقال في رواية حنبل: جر الإزار إذا لم يرد الخيلاء فلا بأس به وهذا ظاهر كلام غير واحد من الأصحاب - رحمهم الله - وقال أحمد - رضي الله عنه - أيضا;ما أسفل من الكعبين في النار; لا يجر شيئا من ثيابه وظاهر هذا التحريم، فهذه ثلاث روايات ورواية الكراهية منصوص الشافعي وأصحابه - رحمهم الله -. قال صاحب المحيط من الحنفية وروي أن أبا حنيفة - رحمه الله - ارتدى برداء ثمين قيمته أربعمائة دينار وكان يجره على الأرض فقيل له أولسنا نهينا عن هذا؟ فقال إنما ذلك لذوي الخيلاء ولسنا منهم، واختار الشيخ تقي الدين - رحمه الله - عدم تحريمه ولم يتعرض لكراهة ولا عدمها.

হাম্বলের বর্ণনায় তিনি (ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল) বলেন : 'যদি কেউ অহংকারবশত কাপড় (টাখনুর নিচে) না টানে, তবে তাতে কোনো ক্ষতি নেই।' এটি অনেক আসহাবের কথার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। আহমাদ আরও বলেন, 'যা পায়ের গোড়ালির নিচে, তা আগুনে।' তিনি তার কাপড়ের কোনো অংশ টানতেন না। এর বাহ্যিক অর্থ হলো এটি হারাম। এগুলি তিনটি বর্ণনা, এবং মাকরুহ হওয়ার বর্ণনাটি শাফেয়ী এবং তার আসহাবদের দ্বারা বর্ণিত।

হানাফী মাযহাবের 'আল-মুহিত' (সম্ভবত বুরহানুদ্দীন ইবনে মাযাহ আল-বুখারী রচিত আল মুহীতুল বুরহানী ফিল ফিকহিন নু'মানীর কথা বলা হচ্ছে) কিতাবের লেখক বলেন, বর্ণিত আছে যে, আবু হানিফা চারশ দিনার মূল্যের একটি মূল্যবান আলখাল্লা পরেছিলেন এবং সেটি মাটিতে লাগতো। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, 'আমাদের কি এটি করতে নিষেধ করা হয়নি?' তিনি জবাব দিয়েছিলেন, 'এটি অহংকারীদের জন্য, আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত নই।' শায়েখ তাক্বীউদ্দীন [ইবনু তাইমিয়্যাহ] এটি হারাম না হওয়ার মতকে পছন্দ করেছেন এবং তিনি মাকরুহ হওয়া বা না হওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

[ আল-আদাবুশ শারইয়্যাহ ওয়াল মিনাহুল মারইয়্যাহ, ইবনুল মুফলিহ ৩/৫২১ ]

.

প্রশ্নঃ
তবে কি অহংকার ব্যতিরেকে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া জায়েজ?
বিস্তারিত তাহক্বীকের আলোকে এর জবাব/খন্ডন জানিয়ে উপকৃত করবেন,

جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না) 
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।
(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)


টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ

অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেই ঘটনার বাস্তবতা কতটুকু সঠিক? সে সম্পর্কে  আমাদের জানা নেই? অনেকেই সেই ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে সন্দিহান! তাছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে তা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। 
«وروي أن أبا حنيفة رحمه الله ارتدى برداء ثمين قيمته أربعمائة دينار وكان يجره على الأرض فقيل له أولسنا نهينا عن هذا؟ فقال إنما ذلك لذوي الخيلاء ولسنا منهم»[الآداب الشرعية والمنح المرعية(3/ 521)]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...