আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
অনেক সময় অনেকে খারাপ ব্যবহার করে, মানসিকভাবে কষ্ট দেয় । কিন্তু তাদেরকে শোধরানোর উপায় থাকে না । তাদের বোঝাতে গেলে আরো বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে । পারিবারিক ও সামাজিক কারণে তাদের থেকে সরে থাকাও যায় না ।আবার তাদের কথার বিপরীতে রেগে যাওয়ার ভয় থাকে । অথচ মনে মনে চেপে থাকার কারণে অনেক সময় এ নিয়ে প্রচন্ড মানসিক কষ্ট হয় ।

স্বান্তনা পাওয়া কিংবা ভালো উপদেশ পাওয়ার নিয়তে এই খারাপ ব্যবহারের ঘটনা কি নিজের আপনজন কাউকে খুলে বললে তা কি গীবত হবে?

কেউ স্বান্তনা দিলে, সহজ/ভালো উপদেশ দিলে বা কারো সাথে শেয়ার করলে মন কিছুটা হালকা হয়, মানসিক চাপ কমে , কষ্টদায়ী মানুষদের সাথে মানিয়ে চলা সহজ হয় ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে সমস্ত কারণ যাতে গিবত করা বৈধ।
أمور تباح فيها الغيبة:
الأصل في الغيبة التحريم للأدلة الثابتة في ذلك، ومع هذا فقد ذكر النووي وغيره من العلماء أمورا ستة تباح فيها الغيبة لما فيها من المصلحة؛ ولأن المجوز في ذلك غرض شرعي لا يمكن الوصول إليه إلا بها وتلك الأمور هي:
কুরআন-হাদীসের অসংখ্য দলীল প্রমাণ থাকায় গীবত মূলত হারাম।তবে ইমাম নববী রাহ সহ অনেক উলামায়ে কেরাম ছয়টি বিষয়ে গীবতের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।বিভিন্ন মুসলিহত ও হেকমত থাকর ধরুণই উলামায়ে কেরাম মূলত এ অনুমতি দিয়ে থাকেন।শরীয়য়ত অনুমোদিত কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই রুখসত প্রদান করা হচ্ছে, কেননা গীবত ব্যতীত এই উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া প্রায়-ই অসম্ভব।

الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

الثالث: الاستفتاء: وبيانه أن يقول للمفتي: ظلمني أبي أو أخي أو فلان بكذا. فهل له ذلك أم لا؟ وما طريقي في الخلاص منه وتحصيل حقي ودفع الظلم عني؟ ونحو ذلك، فهذا جائز للحاجة، ولكن الأحوط أن يقول: ما تقول في رجل كان من أمره كذا، أو في زوج أو زوجة تفعل كذا ونحو ذلك، فإنه يحصل له الغرض من غير تعيين ومع ذلك فالتعيين جائز،  لحديث هند رضي الله عنها وقولها: يا رسول الله إن أبا سفيان رجل شحيح. . الحديث. ولم ينهها رسول الله صلى الله عليه وسلم.
(তিন)ফাতাওয়া চাওয়ার সময় কারো গিবত করা।
এভাবে যে,কেউ কোনো মুফতী সাহেবের নিকট গিয়ে বলল,আমার উপর আমার বাবা,ভাই জুলুম-নির্যাতন করতেছে।আমার উপর তাদের এমন জুলুম করার কি কোনো অধিকার আছে?এখন কিভাবে আমি তাদের জুলুম-নির্যাতন থেকে নাজাত পেতে পারি এবং নিজের অধিকারকে আদায় করে নিতে পারি?ইত্যাদি ইত্যাদি।প্রয়োজনের খাতিরে এমনটা জায়েয।তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হলো,নাম ঠিকানা নির্দিষ্ট না করে এভাবে বলা যে,এক ব্যক্তি অন্যজনের সাথে এমন আচরণ করছে কিংবা একজন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে এমন এমন আচরণ করছে।তখন কাউকে নির্দিষ্ট করে পরিচয় প্রদান ব্যতীত উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে।তাছাড়া নির্দিষ্ট করে কারো পরিচয় প্রদান করাও জায়েয আছে।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,হযরত হিনদাহ রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে গিয়ে নিজ স্বামী আবু সুফিয়ান রাযি এর নামে নালিশ করে বললেন,যে ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমার স্বামী আবু সুফিয়ান একজন কৃপন লোক।রাসূলুল্লাহ সাঃ তখন তার এমন নাম উল্লেখ-কে বাধা প্রদান করেননি।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1715 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বান্তনা পাওয়া কিংবা ভালো উপদেশ পাওয়ার নিয়তে খারাপ ব্যবহারের ঘটনা নিজের আপনজন কাউকে খুলে বলা যাবে।এক্ষেত্রে গীবত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...