আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
760 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (33 points)
আমি এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিবো إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ . আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ বাবা ১ বছর কমিয়ে রেখেছে। এটা নাজায়িজ তা জানলাম এখান থেকেঃ https://ifatwa.info/6427/ ...যখন জাতীয় পরিচয় পত্র এর আবেদন ফর্ম দেখলাম সেখানে লেখা আছে "এই ফর্মে বর্ণিত তথ্যাদি আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সম্পুর্ন সত্য" এই মর্মে আমাকে সাক্ষর করতে হবে।  খুবিই সুন্দর ভাবে বাবাকে যখন বলি আমার আসল বয়স দেওয়া যাবে না? তিনি বলে এর জন্য জে.এস.সি., এস.এস.সি এসবের থেকেও পরিবর্তন করতে হবে, অনেক ঝামেলা হবে এইভাবে গুরুত্ব খুব একটা দিলো না। এদিকে আমি পুরো দ্বিন মানার চেষ্টা করি দেখে বাবা খুব একটা সন্তুষ্ট না। মানে এখন যদি খুব একটা জেদ করি তবে হইত অনেক আমাকে বকা-ঝকা করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি কি করবো? আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফর্মে সাক্ষর করাটা কি গুনাহ হবে? যদি গুনাহই হয় তাও যদি বাবা-মার চাপে পড়ে করতেই হয় তবে এক্ষেত্রে কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না।চাকুরী নেয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকারী নিয়ম থাকে ৩০বৎসরের আর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার বয়স হয় ত্রিশ বৎসর।কিন্তু বাস্তবে বয়স হলো বত্রিশ।তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ  অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।তবে পরবর্তী বেতন ভাতা হারাম হবে না।বিস্তারিত জানুন-3800 

যেহেতু এই জন্মনিবন্ধন কার্ড দ্বারা আপনি দু’টি পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছেন, এই এগুলো বদলাতে হলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে, তাই এই কার্ড আপনি রেখে দিতে পারবেন।

মানুষ সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য এবং  নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য চাকুরী করতে চায়, এবং এই চাকুরীকে নিশ্চিত করার জন্য মূলত বয়স কমানো চিন্তায় লিপ্ত হয়,অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...