বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)
তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না।চাকুরী নেয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকারী নিয়ম থাকে ৩০বৎসরের আর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার বয়স হয় ত্রিশ বৎসর।কিন্তু বাস্তবে বয়স হলো বত্রিশ।তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।তবে পরবর্তী বেতন ভাতা হারাম হবে না।বিস্তারিত জানুন-
3800
যেহেতু এই জন্মনিবন্ধন কার্ড দ্বারা আপনি দু’টি পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছেন, এই এগুলো বদলাতে হলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে, তাই এই কার্ড আপনি রেখে দিতে পারবেন।
মানুষ সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য এবং নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য চাকুরী করতে চায়, এবং এই চাকুরীকে নিশ্চিত করার জন্য মূলত বয়স কমানো চিন্তায় লিপ্ত হয়,অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬)