আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন ।

 আমার নাম:  ফজলে রাব্বি
ঠিকানা:দিনাজপুর  জেলা
আমার জানার বিষয় হচ্ছে। আমি মানসিক পেরেশানি আর টেনশনের কারনে  মনের কষ্টে রাগে বলি যে (আল্লাহর উপর আমার  ভরসা নাই। আল্লাহ উপরে বসে বসে তামাশা দেখতিছে আর শয়তান লাগায় দিছে)।
উক্ত কথার কারণে কি আমার ঈমান চলে গেছে।
মূল ঘটনা :

আমি প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহ বিচ্ছদের ওয়াসওয়াসায় ভুগতিছি। এবং সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ের ওয়াসওয়াসা। এবং এখনো প্রতিদিন প্রতিটা সময় আমি ওয়াসওয়াসার শিকার। কোনমতেই সুস্থ হতে পারতিছিনা। আর এই ওয়াসওয়াসার কষ্টেই কয়েকদিন আগে উক্ত কথা গুলো  বলি।

কথা গুলো বলি ঠিক এভাবে
আমি আমাদের বিয়ে নিয়ে টেনশন করতিছি যে আমাদের বিয়ে ঠিক আছে কিনা আর এসব চিন্তা আমার  সবসময় থাকে। আর তখন আমার আহালিয়া আমাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বলে আল্লাহর উপর ভরসা রাখো সব ঠিক হয়ে যাবে আর তখনি আমি বলি (আল্লাহর উপর আমার  ভরসা নাই  আর সামান্য একটু পর বলি আল্লাহ উপরে বসে বসে তামাশা দেখতিছে আর শয়তান লাগায় দিছে)।

আর তার দুই দিন পরে আমার আহালিয়ার সাথে আমার ঝগরা লাগে। আর ঝগড়ার সময় রাগে আমি বলি যে ( তোমাকে এক তালাক দিলাম) আমি ওয়াসওয়াসার কারনে মূল শব্দ লিখতেও পারি না তাই আমার আহলিয়ার কাছে লিখে নিছি। আসলে মূলত আমার ঐসব দেওয়ার কোন নিয়ত নাই ।গত দুই বছরেরও বেশি সময় যাবত খুব কষ্টে কাটছে আমার  অনেক তবুও বিবাহ বিচ্ছেদের কোন আজেবাজে কথা বলিনাই কিন্তু সেদিন সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়ার কারনে মুখ ফুসকে বাজে কথা বেরিয়ে আসে

এখন আমার জনার বিষয় হলো আল্লাহর উপর আমার কোন ভরসা নাই এই কথার কারণে কি আমার ঈমান চলে গেছে।
আর আমাদের বিয়ে ঠিক আছে কিনা  জানাবেন দয়াকরে। আর ঝগড়ার সময় যে ঘটনা ঘটেছে ঐসবের কারনে ঐসব পতিত হবে কিনা জানাবেন আর ঝগড়া লাগছিল আল্লাহর উপর আমার কোন ভরসা নাই এই কথা বলার দুই দিন পরে।
আমি তাবলীগের সাথী হুজুর পরিপূর্ণ সুন্নতি লেবাস বর্তমানে আমার আমি জেনারেলে কলেজে পড়াশোনা করছি। আর এখন বর্তমানে নূরানী মাদ্রাসায় বাংলা ইংরেজি টিচার হিসেবে নিয়োজিত আছি।
আমি যেদিন আল্লাহ কে নিয়ে ঐসব কথা বলি তার পরের দিন সম্ভবত মাদ্রাসায় যখন ক্লাস  নেই আমি নিজে নিজে কালিমা পড়ি এই মনে করে যে আমার ঈমান চলে গেছে মনেহয় তাই কালিমা পড়ি। কিন্তু বিবাহ দোহরাই নাই।। আর নিজে নিজে যেদিন কালিমা পড়ি।  আমার আহালিয়ার সাথে ঝগড়া লাগে আর ঐসব ঘটনা ঘটে
আর একা একা ঈমান দোহরানো যায় কিনা
জনাবেন। আর ঈমার দোহরালে কি বিবাহ দোহরানো লাগবে কিনা। আর ঐটা পতিত হইছে কিনা জানাবেন দয়াকরে

আমি এত বছর যাবত বিবাহ বিচ্ছেদর ওয়াসওয়াসায় ভুগতিছি কোনমতেই সুস্থ হতে পারতিছি না। আর এই কষ্টেই রাগে মন খারাপ করে বলছি যে আল্লাহর উপর আমার ভরসা নাই। এখন দয়াকরে বুঝে জানাবেন ঈমান আছে কিনা। আল্লাহর উপর মন খারাপ করে রাগ করে বলছি
ওয়াসওয়াসা আক্রানত ব্যকতি ঐসব দিলেও নাকি পতিত হবে না
* তিন বছর ধরে বিবাহ  বিচ্ছেদের চূড়ান্ত  ওয়াসওয়াসায় আক্রানত ব্যকতি ঝগরা করে রাগ করে  মনের কষ্টে হুট করে  ঐটা দিলে কি সেটা পতিত হবে।যদি আসলেই ঐসব দেওয়ার ইচ্ছে না থাাকে।

 শুধু মনের কষ্টে যদি বলে ফেলে তাহলে কি সেটা গ্রহনযোগ্য হবে নাকি হবে না

1 Answer

0 votes
ago by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। এবং বৈবাহিক জীবনেও কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...